পাবলিকেশন প্রস্তুতি ও ভাবনা
This document is originally written by Md Nazmul Hasan, PhD Student in EEE (University of British Columbia).
Year of Publication: 2020
©PBSCU Any unauthorized use of this article, including copying or editing is prohibited. If you want to use the article, you need to take permission from us: pbscuadm@gmail.com or from the author and you must mention the author's name and the group's name in all cases.
বাইরে উচ্চ শিক্ষার্থে আবেদনে রিসার্চ পেপার থাকাটা অনেক বড় প্লাস পয়েন্ট। পিএইচডিতে ফুল ফান্ডিং পাওয়াটা অনেকগুলো ডাইনামিক ভ্যারিয়েবলের উপর নির্ভরশীল যার মধ্যে পাবলিকেশন একটা গুরুত্বপুর্ন ভ্যারিয়েবল যেটা আপনার GPA র কমতি নিমিষেই ঢেকে দেবে। আমার এক ক্লাসমেট আন্ডারগ্র্যাডের ব্যাকবেঞ্চার যার আন্ডারগ্র্যাডে জিপিএ ২.৪ এর মতো ছিল, মাস্টার্সে নতুন উদ্যমে পরিশ্রম করে ভালো জিপিএ তুলছে প্লাস ACS Nano তে একটা পাবলিকেশন করছে। এখন সে কানাডার top-tier ইউনিভার্সিটি অব ক্যালগ্যারিতে ফুল ফান্ড নিয়ে পিএইচডি করতেছে।
বাইরে যারা উচ্চ্শিক্ষার জন্য স্বপ্ন দেখেন, আন্ডারগ্র্যাডে পড়ার সময় থেকেই GRE/IELTS নিয়ে যেমন পড়া শুরু করা উচিত, তেমনি পাবলিকেশনের দিকেও একটু আধটু মনোযোগ দিলে আপনাদের ফান্ডিং জার্নিটা অনেক স্মুথ হতে পারে। আন্ডারগ্র্যাডের অনেকেই গাইডলাইনের অভাবে পাবলিকেশন নিয়ে কাজ করেন না, আবার অনেকেও পাবলিকেশন করলেও বুঝতে পারে না কোনটা সায়েন্টিফিক্যালি রেপিউটেড প্লাটফর্ম আর কোনটা বোগাস। তাদেরকে সুষ্ঠু গাইডলাইন দেবার উদ্দেশ্যেই এই লেখা।
দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমাদের দেশের অধিকাংশ শিক্ষার্থীরা যেন-তেনো প্রিডেটরি কনফারেন্স ও জার্নালে পেপার পাবলিশ করে তৃপ্তির ঢেকুর তুলে সিভিতে এড করে দেয়। কিন্ত এই টাইপের পাবলিকেশন সিভিতে রিসার্চ স্কিল তো বৃদ্ধি করেই না, বরং সিভি দুষিত করে। আর বাইরের প্রফেসরের কাছে এই টাইপের পাবলিকেশন এক কথায় রিসার্চার হিসেবে আপনার অসচেতনার প্রমান করবে। ফলশ্রুতিতে খুবই বাজে ইম্প্রেশন তৈরী হবে আপনার সম্পর্কে। এত কিছু হয়ে গেলেও, বেচারা শিক্ষার্থীর হয়তো কোন ধারনাই নাই প্রিডেটরি জার্নাল ও কনফারেন্স সম্পর্কে, তাই ভাগ্যকে দোষ দিয়ে নেক্সট ইনটেকে আবার এপ্লাই করে আশায় বুক বাধে। মনে রাখবেন এডমিশনে আপনার লড়াইটা পুরা পৃথিবীর সাথে। আপনার এপ্লিকেশনের সাথে সাথে ইন্ডিয়ার IIT, ইরানের Amirkabir, Sharif, চায়নার Tsinghua, Fudan এর ছেলেমেয়েরাও এপ্লাই করবে। আর ওদের ছেলেমেয়েরা প্রিডেটরি কনফারেন্স ও জার্নালের ব্যাপারে অনেক সচেতন। তাই এপ্লিকেন্টস পুলে, আপনার প্রিডেটরি পাবলিকেশন সমৃদ্ধ সিভি কিন্ত দৃষ্টি কটু লাগবে তখন ।
ভাল-মন্দ সব খানেই ব্যবসা চলে এসেছে। দুর্ভাগ্যজনক ভাবে, অনেক আগে থেকেই কিছু অসাধু লোক টাকা কমানোর ধান্ধায় এই প্রিডেটরি জার্নাল ও কনফারেন্স সারা বিশ্ব জুড়ে চালু করেছে যার মধ্যে ইন্ডিয়া ও চায়না ভিত্তিক পাবলিকেশন গুলি একটু বেশিই ডমিনেন্ট । এদের ওয়েবসাইটে কন্টাক্ট এড্রেসে রিজিওনাল অফিস হিসেবে আমেরিকা, ইউকে, অস্ট্রেলিয়ার ঠিকানাও দেয়া থাকে। কিন্ত এসব এড্রেস ভুয়া। পাবলিকেশন ফি এর বিনিময়ে, নাম-মাত্র সময়ে পেপার জমা দেবার ( হয়তো এক সপ্তাহ/ দু/তিন সপ্তাহ) এর মধ্যে এরা এক্সেপ্টেন্স নোটিফিকেশন পাঠিয়ে, ফি নিয়ে সাথে সাথে পাবলিশ করে দেয়! আপনি হয়তো মহাখুশি যে আপনার প্রথম পেপার পাবলিশ হয়েছে। অথচ এই পাবলিকেশনের কোন ভ্যালুই নেই। আর প্রিডেটরি বোগাস কনফারেন্স গুলাতে আপনি যে পেপারই জমা দেবেন একসেপ্ট হবে। আপনি কনফারেন্স গিয়ে প্রেজেন্ট করেও আসবেন কিন্ত ওই খানে আপনার মত আরো দশজন যারা এসব বোগাস কনফারেন্স সম্পর্কে জানেন না তারাই উপস্থিত থাকবে, বুঝতেও পারবেন না যদি আগে থেকে না জানেন। আপনি চাইলে পরীক্ষা করে দেখতে পারেন, কিছু টেকনিক্যাল কাল্পনিক jargon সমৃদ্ধ একটা বানোয়াট পেপার লেখেন, কিছু কল্পনিক গ্রাফ দেন, এবং কোন বোগাস কনফারেন্স এ জমা দেন, দেখবেন একসেপ্ট করছে কয়েকদিনা পর। এসব বোগাস কনফারেন্স জাস্ট টাকা কামানোর জন্য আয়োজন করা হয়।
প্রিডেটরি পাবলিকেশনের শিকার কারা হয় বেশি ?
বাংলাদেশের অনেক আন্ডারগ্র্যাডদের পিয়ার-রিভিউ, জার্নাল সাইটেশন রিপোর্ট (JCR), SSCI, SCI ইত্যাদি সম্পর্কে সম্যক ধারনা না থাকায় তারাই সবচে বেশি এই প্রিডেটরি পাব্লিকেশন এর শিকার হয়। দুর্ভাগ্যক্রমে, আমার নিজের অভিজ্ঞতাতেও দেখেছি দেশের কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাকাল্টিরাও সমানে প্রিডেটরি জার্নালে পাব্লিকেশন করেই যাচ্ছে , কার কত পাবলিকেশন ও প্রমোশন সেটার নোংরা খেলায় মেতে গিয়ে। কিছু ক্ষেত্রে নিজের অজান্তে আবার কিছু ক্ষেত্রে জেনে শুনেই। দেশে আপনার সুপারভাইজার যদি আপনাকে প্রিডেটরি জার্নালে পাবলিকেশনের জন্য বলে, তার সাথে খোলামেলা সম্মানের সাথে আলোচনা করুন ।
প্রিডেটরি পাবলিশারদের চিনবেন কিভাবে?
Jeffrey Beall একটা লিস্ট বানিয়েছেন প্রিডেটরি পাবলিশারদের https://beallslist.weebly.com/ তিনি বিশ্ব-বিখ্যাত একজন লাইব্রেরিয়ান। উইকিপিডিয়াতে তার সম্পর্কে জানতে পারবেন। লিস্টের মধ্যে যদি আপনার জার্নালের নাম খুঁজে পান, তাহলে ১০০ হাত দূরে থাকুন ওই জার্নাল থেকে। বাইরের দেশের প্রফেসররা এইসব প্রিডেটরি পাবলিকেশন সম্পর্কে অনেক স্ট্রিক্ট। আপনার সিভিতে এই টাইপের পাবলিকেশনের রেকর্ড দেবেন মানে হচ্ছে আপনার ইম্প্রেশন প্রফেসরের কাছে নষ্ট হবে।
প্রিডেটরি পাবলিকেশন সম্পর্কে আরো জানতে পড়ুন:
https://en.wikipedia.org/wiki/Predatory_open-access_publishing
রিলায়েবল জার্নাল সম্পর্কে কিভাবে জানবেন?
Clarivate Analytics এর মাস্টার জার্নাল লিস্ট ঘাটুন, এখানকার প্রতিটা জার্নাল রেপিউটেড: http://mjl.clarivate.com/
Scopus এর লিস্ট ঘাটুন: https://www.scopus.com/sources
Agriculture, Biology, and Environmental science list:
http://mjl.clarivate.com/cgi-bin/jrnlst/jlresults.cgi?PC=A
Business related journal list:
http://mjl.clarivate.com/cgi-bin/jrnlst/jlresults.cgi?PC=BC
Arts and Humanities list:
http://mjl.clarivate.com/cgi-bin/jrnlst/jlresults.cgi?PC=Y
Life science related list:
http://mjl.clarivate.com/cgi-bin/jrnlst/jlresults.cgi?PC=P
Engineering and technology related list:
http://mjl.clarivate.com/cgi-bin/jrnlst/jlresults.cgi?PC=T
এছাড়া সাবজেক্ট ওয়াইজ যার যার ফিল্ড সেসব ফিল্ডের টেকনিক্যাল সোসাইটির ওয়েবসাইট ঘাটতে শিখুন। ফিজিক্সের হলে APS/AIP এর ওয়েবসাইট এ যান, সেখানে জার্নাল/কনফারেন্স গুলা সম্পর্কে ধারণা নিন। সেইমভাবে, EEE হলে IEEE/IET এর ওয়েবসাইটে জার্নাল/কনফারেন্স লিস্ট চেক করুন, সিভিল, মেকানিক্যাল, কম্পিউটার হলে ASCE, ASME, ACM ইত্যাদি সোসাইটির জার্নাল/কনফারেন্স গুলা দেখুন। এভাবে যার যার সাবজেক্ট এর টেকনিক্যাল সোসাইটি সম্পর্কে আগে জানুন, ওই সোসাইটি গুলিই বিভিন্ন ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স আয়োজন করে, সেগুলা সম্পর্কে জানার চেষ্টা করুন।
রিলায়েবল কনফারেন্স সম্পর্কে কিভাবে জানবেন?
কনফারেন্স দু ধরণের হয়। ইন্টারন্যাশনাল ও ডোমেস্টিক।
আপনার সাবজেক্ট যাই হোক, বায়োলজি, ফিজিক্স, কেমিস্ট্রি, ইকোনোমিক্স, CSE, EEE ইত্যাদি প্রতিটা সাবজেক্টের লার্নেড ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি আছে। সেই সোসাইটিগুলাই ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স এর আয়োজন করে থাকে।
আর বিভিন্ন লোকাল ইউনিভার্সিটি গুলা লোকাল ডোমেস্টিক কনফারেন্সগুলার আয়োজন করে থাকে, যেগুলার মান ও কোয়ালিটি ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স থেকে অনেক পিছিয়ে। আমার মতে, যেখানে এডমিশনের সময় সারা বিশ্বের ক্যান্ডিডেটদের সাথে ফান্ডিং এর লড়াইয়ে আপনাকে নামতে হবে সেখানে ডোমেস্টিক কনফারেন্স এর পাবলিকেশন আপনার সিভিতে খুব একটা ভ্যালু এড করবে না। নিজের পেপারের স্ট্যান্ডার্ড একটু কষ্ট করে হলেও বাড়িয়ে, বরং ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্সেই পাব্লিশের চেষ্টা করুন।
আর সবচে বড় ব্যাপার কনফারেন্সের ওয়েবসাইট দেখুন। অর্গানাইজিং কমিটির মেম্বারদের প্রোফাইল/এফিলিয়েশন দেখুন। ইনভাইটেড স্পিকারদের প্রোফাইল দেখুন। অনেক বোগাস কনফারেন্স তাদের কমিটিতে/ইনভাইটেড স্পিকার সেকশনে প্রফেসরদের নাম এফিলিয়েশন এড করে দেয় তাদের অজান্তেই। অতএব সন্দেহ হলেই, ওই প্রফেসরকে ইমেল করে ভদ্র করে জিজ্ঞেস করুন তিনি সত্যি সত্যি অর্গানাইজিং কমিটিতে বা স্পিকার হিসেবে আছেন নাকি। আর হ্যা, ইমেলটা যেন প্রফেসরের নিজের ইউনিভার্সিটির ইমেল হয়, ইয়াহু, জিমেল হলে সন্দেহ বেশি করবেন আরো। এরপরেও যদি কনফারেন্স/জার্নালের কোয়ালিটি নিজে বুঝতে না পারেন, আমাকে জানাবেন, আমি নিশ্চিত করে জানানোর চেষ্টা করবো।
আরেকটা ব্যাপার, অনেকেই উল্লেখ করেন IEEE কনফারেন্স পাবলিকেশন। আসলে IEEE লোগো কনফারেন্স ব্যানারে দিলেই IEEE কনফারেন্স হয়ে যায় না। আগে দেখুন কনফারেন্সটি IEEE ওয়েব সাইটে নিবন্ধিত কিনা https://www.ieee.org/conferences/index.html তারপর দেখুন IEEE এর কোন স্পেসিফিক টেকনিক্যাল সোসাইটি এই কনফারেন্স এর টেকনিক্যাল স্পনসর। IEEE তে অনেক সোসাইটি আছে যেমন - আপনি যদি ফোটোনিক্স নিয়ে রিসার্চ করেন তবে photonics society তে খোঁজ নিন. এই সোসাইটির ওয়েবসাইটে কনফারেন্স লিস্ট/নিউজ সেকশন/ প্রমোশন সেকশন চেক করে দেখুন কোন তথ্য আছে কিনা ওই কনফারেন্স নিয়ে: https://www.photonicssociety.org/conferences
এরকম রিসার্চ রিলেটেড আলাদা আলাদা সোসাইটি আছে -https://www.ieee.org/communities/societies/index.html?WT.mc_id=com_lp_soc
এখান থেকে আপনি যে ফিল্ডে কাজ করেন সেই সোসাইটির ওয়েবসাইট সম্পর্কে জানুন, কনফারেন্স এলার্ট অন করে রাখুন। ভবিষ্যতে কাজে লাগবে।
অন্যান্য সাবজেক্টের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। আগে নিজের ফিল্ডের টেকনিক্যাল সোসাইটি সম্পর্কে সম্যক ধারণা নিন। তাদের ওয়েবসাইট গুলা নিয়মিত ঘাটুন। ওখানেই বিভিন্ন কনফারেন্সের নিউজ আপডেট দেখবেন পাবেন।
প্রিডেটরি অনলাইন কনফারেন্স
কোভিড-১৯ সিচুয়েশনে এখন সব কনফারেন্স অনলাইনে হওয়ায় রিসার্চ নিয়ে অনেক অনভিজ্ঞ শিক্ষার্থীরা প্রিডেটরি কনফারেন্সগুলোর শিকার হচ্ছে বেশি। আবার অনেক শিক্ষার্থী কনফারেন্সের পোস্টারে international শুব্দটা দেখে আকৃষ্ট হয়ে সেই প্রিডেটরি কনফারেন্সের ক্ষপ্পরেই পরে যায়। অথচ international শুব্দটা লাগিয়ে দিলেই কিন্ত কনফারেন্স আন্তর্জাতিক হয়ে যায় না। সেসব চিহ্নিত করার কিছু উপায় নিয়েই এই লিখাটা। যারা রিসার্চের দুনিয়ায় সবে পা রেখেছেন, বা রাখতে যাচ্ছেন আশা করছি তাদের জন্য সহায়ক হবে।
প্রিডেটরি পাবলিকেশনের শিকার কারা হয় বেশি ?
বাংলাদেশের আন্ডারগ্র্যাডদের অনেক শিক্ষার্থীরা পিয়ার-রিভিউ, সাইটেশন, জার্নাল সাইটেশন রিপোর্ট (JCR), Social Science Citation Index (SSCI), Science Citation Index (SCI), Science Citation Index Expanded (SCIE) ইত্যাদি সম্পর্কে সম্যক ধারনা না থাকায় তারাই সবচে বেশি এই প্রিডেটরি পাব্লিকেশন এর শিকার হয়। দুর্ভাগ্যক্রমে, দেশের কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাকাল্টিরাও সমানে প্রিডেটরি জার্নালে পাব্লিকেশন করেই যাচ্ছে , কার কত পাবলিকেশন ও প্রমোশন সেটা করতে গিয়ে।
প্রিডেটরি পাবলিকেশন কি? কারা আছে এর পিছনে?
ভাল-মন্দ সব খানেই ব্যবসা চলে এসেছে। দুর্ভাগ্যজনক ভাবে, অনেক আগে থেকেই কিছু অসাধু লোক টাকা কমানোর ধান্ধায় এই প্রিডেটরি জার্নাল ও কনফারেন্স চালু করেছে, যার মধ্যে ইন্ডিয়া ও চায়না ভিত্তিক পাবলিকেশন গুলি একটু বেশিই ডমিনেন্ট ।
যেসকল কনফারেন্স ও জার্নাল মেইন স্ট্রিম রিসার্চ সায়েন্সটিস্ট ও রিসার্চ কমিউনিটিতে স্বীকৃত নয়, এবং যারা কিনা টাকার বিনিময়ে যেকোন কোয়ালিটিবিহীন অখাদ্য কুখাদ্য পেপার নামকাওয়াস্তে টাইমে দ্রুত পাবলিশ করে অনলাইনে তাদেরকে প্রিডেটরি পাবলিশার বলে এবং এই ধরণের পেপারকে প্রিডেটরি পেপার বলে। এগুলা যদি সিভিতে রাখেন, এবং সেই সিভি কোন ইউরোপ, আমেরিকার প্রফেসর দেখেন, আপনার জন্য ব্যাড ইম্প্রেশনের কারণ হবে।
এসব প্রিডেটরি পাবলিশারদের ওয়েবসাইটে কন্টাক্ট এড্রেসে রিজিওনাল অফিস হিসেবে আমেরিকা, ইউকে, অস্ট্রেলিয়ার ঠিকানাও দেয়া থাকে। কিন্ত এরা অপারেট করে এক জায়গা থেকে কিন্ত হয়তো সেই এড্রেস দেয়া থাকে না। পাবলিকেশন ফি এর বিনিময়ে, নাম-মাত্র সময়ে পেপার জমা দেবার ( হয়তো 1-2 সপ্তাহ এমনকি দিনে দিনে) এর মধ্যে এরা এক্সেপ্টেন্স নোটিফিকেশন পাঠিয়ে, ফি নিয়ে সাথে সাথে পাবলিশ করে দেয়! অথচ একটা ভালো জার্নালে পেপার রিভিউ হতে ১-৬ মাস+ লাগে এবং মাল্টিপল টাইম রিভিশনের প্রয়োজন হতে পারে। আপনি হয়তো মহাখুশি যে আপনার প্রথম পেপার এত দ্রুত রিভিউ হয়ে পাবলিশ হয়েছে তাও রিভিশন ছাড়া। তার মানে আপনার কাজটা সুপার ট্যালেন্টেড টাইপের কিছু একটা ছিল!অথচ এই পাবলিকেশনের কোন ভ্যালুই নেই।
শুধু কি প্রিডেটরি কনফারেন্স হয় নাকি প্রিডেটরি জার্নালও হয়?
প্রিডেটরি কনফারেন্স ও জার্নাল দুটাই হতে পারে। এই লিখাটি মূলত প্রিডেটরি কনফারেন্স নিয়ে । তাও প্রিডেটরি জার্নাল নিয়ে দু লাইন একটু এড করে দিচ্ছি। প্রিডেটরি কনফারেন্সের মত জার্নালগুলোও নামক ওয়াস্তে টাইমে যেকোন পেপার একসেপ্ট করে ফেলবে টাকার বিনিময়ে। প্রিডেটরি জার্নালের একটা লিস্ট বানিয়েছেন Jeffrey Beall নামের একজন বিখ্যাত লাইব্রেরিয়ান: https://beallslist.net এই লিস্টে জার্নাল গুলা প্রিডেটরি, তাই নিজের পেপার এখানে কোন জার্নালে পাবলিশ করা থেকে বিরত থাকুন।
প্রিডেটরি কনফারেন্সগুলোতে কি কি দেখতে পাবেন?
আপনি ঐসব বোগাস কনফারেন্সে গিয়ে প্রেজেন্ট করেও আসবেন কিন্ত ওই খানে আপনার মত আরো দশজনই উপস্থিত থাকবে যারা অনভিজ্ঞ, বুঝতেও পারবেন না যদি আগে থেকে না জানেন। এইসব বোগাস কনফারেন্স গুলি বেশিরভাগ ইন্ডিয়াতে আর চায়নাতে হয়। ইন্ডিয়ার এসব প্রিডেটরি কনফারেন্সের অনুষ্ঠানগুলি এরা ভিডিও করে, ছবি তুলে ওয়েবসাইটে দিয়ে রাখে- বিজ্ঞাপন করে, পরবর্তী শিকার ধরার জন্য। আপনি ইন্ডিয়ার এসব বোগাস কনফারেন্স গুলিতে গেলে বা এসব বোগাস কনফারেন্সের ছবিগুলা দেখলে দেখবেন কনফারেন্স উদ্বোধন এরা বিভিন্ন স্থানীয় ধর্মীয় রীতি নীতি টাইপের যেমন মঙ্গল প্রদীপ জ্বালানো টাইপের একটিভিটি দিয়ে করতেছে!! শতভাগ নিশ্চিত থাকেন ইন্টারন্যাশনাল কোন সায়েন্সটিস্টদের কনফারেন্স কখনো এরকম লোক্যাল ধর্মীয় একটিভিটি দিয়ে উদ্বোধন হবে না। এরকম কিছু দেখলেই বুঝবেন আপনি বোগাস কনফারেন্স এটেন্ড করতেছেন।
বোগাস প্রিডেটরি কনফারেন্স ও ভালো ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স দুটাতেই টাকা লাগে তাহলে দুটার পার্থক্য কি?
ইন্টারন্যাশনাল ভালো কনফারেন্সগুলিতেও পেপার পাবলিশ করতে টাকা লাগে কিন্ত অর্গানাইজিং কমিটি মেম্বারদের প্রত্যেকেই সনামধন্য ইউনিভার্সিটির প্রফেসর। একটা কনফারেন্স আয়োজন করতে হোটেল ভেন্যু, লজিস্টিকস খরচ আছে সেগুলার জন্য ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্সগুলো টাকা চার্জ করে। কিন্ত বোগাস কনফারেন্সগুলো যে টাকা নিবে তার শতভাগ জলে যাবে নিশ্চিত থাকুন। আপনি চাইলে পরীক্ষা করে দেখতে পারেন, কিছু টেকনিক্যাল কাল্পনিক jargon (প্রযুক্তিগত পরিভাষা) সমৃদ্ধ একটা বানোয়াট পেপার লেখেন, কিছু কল্পনিক গ্রাফ দেন, এবং ওইসব বোগাস কনফারেন্সে জমা দেন, দেখবেন একসেপ্ট করছে। এগুলা জাস্ট টাকা কামানোর জন্য আয়োজন করা হয়। এগুলা নিয়ে অনেক বাস্তব রিপোর্ট বের হয়েছে, সেগুলা গুগল করলেই পেয়ে যাবেন। অনেক সনামধন্য ইউনিভার্সিটির প্রফেসরগণ নিজেদের ব্যক্তিগত ব্লগে এসব নিয়ে লিখেছেন, যে তারা এরকম কাল্পনিক পরিভাষা দিয়ে, আরো কিছু কাল্পনিক গ্রাফ বানিয়ে নিজের পোষা কুকুর-বিড়ালের নাম পেপারের অথার হিসেবে দিয়ে ঐসব বোগাস কনফারেন্স জমা দিয়ে এক্সেপ্টড হয়েছেন, এসব নিয়ে মজা করে লিখেছেন অনেকেই ব্লগে।
কিভাবে প্রিডেটরি/ বোগাস কনফারেন্সগুলি চিহ্নিত করবেন?
International শুব্দটা লাগিয়ে দিলেই কিন্ত কনফারেন্স আন্তর্জাতিক হয়ে যায় না। আন্তর্জাতিক কনফারেন্স আয়োজন করার জন্য Technical Program Committee (TPC) সহ আয়োজক কমিটি (organizing committee),পেপার রিভিউ কমিটি থাকে যাদের মধ্যে প্রফেসর কিংবা ইন্ড্রাস্ট্রির R&D তে কাজ করছে এমন সায়েন্টিস্টগন থাকেন। এদের কাজ জমাকৃত সমস্ত পেপার রিভিঊ করে এক্সেপ্ট বা রিজেক্ট ডিসিশন দেয়া শুরু করে, কনফারেন্স আয়োজনের যাবতিয় খুটিনাটি দেখভাল করা। একারনে একটা কনফারেন্স আদৌ রিলায়েবল নাকি বোগাস সেটা বোঝার উপায় হলো ওই কনফারেন্স এর ওয়েবসাইটে গিয়ে organizing committee, Technical program committee, invited speaker etc. committee তে থাকা লোকজনদের প্রোফাইল দেখা যে আদৌ তাদের এফিলিয়েশন কোন ভালো ইউনিভার্সিটির কিনা বা তারা আদৌ ভাল কোন ভার্সিটির প্রফেসর কিনা।
অনেক বোগাস প্রিডেটরি কনফারেন্স তাদের কমিটিতে/ইনভাইটেড স্পিকার সেকশনে অনেক প্রফেসরদের নাম এফিলিয়েশন এড করে দেয় তাদের অজান্তেই। অতএব সন্দেহ হলেই, ওই প্রফেসরকে ইমেল করে ভদ্রভাবে জিজ্ঞেস করতে পারো তিনি সত্যি সত্যি অর্গানাইজিং কমিটিতে বা স্পিকার হিসেবে আছেন নাকি। আর হ্যা, ইমেলটা যেন প্রফেসরের নিজের ইউনিভার্সিটির ইমেইল হয়, ইয়াহু, জিমেইল হলে সন্দেহ বেশি করবেন,আরো।
সন্দেহ হলেই নিচের মত ইমেইল লিখে প্রফেসরদের পাঠাতে পারেন যাচাইয়ের জন্য আসলেই কি তারা অর্গানাইজিং/টিপিসি তে আছেন নাকি ওই কনফারেন্সের। এসব ব্যাপারে তারা অনেক কো-অপারেটিভ।
Dear prof. Dr. last name,
I am XYZ from Bangladesh. I was planning to submit my paper in ABC conference and so I was browsing through the organizing committee and found you as one of the members of the committee (here, give full details and link).
Could you please confirm if you are in the organizing the committee.
Thank you very much.
Sincerely Yours,
Your Name and affiliation
আশা করি তথ্যগুলি কাজে লাগবে সবার। পেপারের কোয়ান্টিটি না বরং কোয়ালিটির উপর মন দিন।সবাই ভালো থাকুন। আল্লাহ হাফেয।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে আন্ডারগ্রাড রিসার্চ
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে আন্ডারগ্র্যাড এবং মাস্টার্সের লেভেলেও জার্নাল পাবলিকেশন অনেক দুরহ ব্যাপার সেটা আমরা কম বেশি সবাই জানি। সেকারণেই ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্সগুলা টার্গেট করতে পারেন। আর বিভিন্ন ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স রেজিস্ট্রেশন ফি বাংলাদেশের মত স্বল্প-উন্নত দেশের জন্য ওয়েইভ করে দেয়, ট্রাভেল গ্রান্টসও দেয়। সব কিছুর জন্য প্রপার প্ল্যানিং লাগে। আগামী লেখায় বিস্তারিত তুলে ধরবো কিভাবে প্ল্যান করে আগালে রেপিউটেড ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্সগুলাতে পাবলিকেশন করতে পারবেন। এবং প্রিডেটরি জার্নাল ও বোগাস সি গ্রেডের কনফারেন্সগুলার হাত থেকে দূরে থাকুন, ভবিষ্যৎ রিসার্চার হিসেবে নিজের ইন্টিগ্রিটি বজায় রাখুন।
Year of Publication: 2020
©PBSCU Any unauthorized use of this article, including copying or editing is prohibited. If you want to use the article, you need to take permission from us: pbscuadm@gmail.com or from the author and you must mention the author's name and the group's name in all cases.
বাইরে উচ্চ শিক্ষার্থে আবেদনে রিসার্চ পেপার থাকাটা অনেক বড় প্লাস পয়েন্ট। পিএইচডিতে ফুল ফান্ডিং পাওয়াটা অনেকগুলো ডাইনামিক ভ্যারিয়েবলের উপর নির্ভরশীল যার মধ্যে পাবলিকেশন একটা গুরুত্বপুর্ন ভ্যারিয়েবল যেটা আপনার GPA র কমতি নিমিষেই ঢেকে দেবে। আমার এক ক্লাসমেট আন্ডারগ্র্যাডের ব্যাকবেঞ্চার যার আন্ডারগ্র্যাডে জিপিএ ২.৪ এর মতো ছিল, মাস্টার্সে নতুন উদ্যমে পরিশ্রম করে ভালো জিপিএ তুলছে প্লাস ACS Nano তে একটা পাবলিকেশন করছে। এখন সে কানাডার top-tier ইউনিভার্সিটি অব ক্যালগ্যারিতে ফুল ফান্ড নিয়ে পিএইচডি করতেছে।
বাইরে যারা উচ্চ্শিক্ষার জন্য স্বপ্ন দেখেন, আন্ডারগ্র্যাডে পড়ার সময় থেকেই GRE/IELTS নিয়ে যেমন পড়া শুরু করা উচিত, তেমনি পাবলিকেশনের দিকেও একটু আধটু মনোযোগ দিলে আপনাদের ফান্ডিং জার্নিটা অনেক স্মুথ হতে পারে। আন্ডারগ্র্যাডের অনেকেই গাইডলাইনের অভাবে পাবলিকেশন নিয়ে কাজ করেন না, আবার অনেকেও পাবলিকেশন করলেও বুঝতে পারে না কোনটা সায়েন্টিফিক্যালি রেপিউটেড প্লাটফর্ম আর কোনটা বোগাস। তাদেরকে সুষ্ঠু গাইডলাইন দেবার উদ্দেশ্যেই এই লেখা।
দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমাদের দেশের অধিকাংশ শিক্ষার্থীরা যেন-তেনো প্রিডেটরি কনফারেন্স ও জার্নালে পেপার পাবলিশ করে তৃপ্তির ঢেকুর তুলে সিভিতে এড করে দেয়। কিন্ত এই টাইপের পাবলিকেশন সিভিতে রিসার্চ স্কিল তো বৃদ্ধি করেই না, বরং সিভি দুষিত করে। আর বাইরের প্রফেসরের কাছে এই টাইপের পাবলিকেশন এক কথায় রিসার্চার হিসেবে আপনার অসচেতনার প্রমান করবে। ফলশ্রুতিতে খুবই বাজে ইম্প্রেশন তৈরী হবে আপনার সম্পর্কে। এত কিছু হয়ে গেলেও, বেচারা শিক্ষার্থীর হয়তো কোন ধারনাই নাই প্রিডেটরি জার্নাল ও কনফারেন্স সম্পর্কে, তাই ভাগ্যকে দোষ দিয়ে নেক্সট ইনটেকে আবার এপ্লাই করে আশায় বুক বাধে। মনে রাখবেন এডমিশনে আপনার লড়াইটা পুরা পৃথিবীর সাথে। আপনার এপ্লিকেশনের সাথে সাথে ইন্ডিয়ার IIT, ইরানের Amirkabir, Sharif, চায়নার Tsinghua, Fudan এর ছেলেমেয়েরাও এপ্লাই করবে। আর ওদের ছেলেমেয়েরা প্রিডেটরি কনফারেন্স ও জার্নালের ব্যাপারে অনেক সচেতন। তাই এপ্লিকেন্টস পুলে, আপনার প্রিডেটরি পাবলিকেশন সমৃদ্ধ সিভি কিন্ত দৃষ্টি কটু লাগবে তখন ।
ভাল-মন্দ সব খানেই ব্যবসা চলে এসেছে। দুর্ভাগ্যজনক ভাবে, অনেক আগে থেকেই কিছু অসাধু লোক টাকা কমানোর ধান্ধায় এই প্রিডেটরি জার্নাল ও কনফারেন্স সারা বিশ্ব জুড়ে চালু করেছে যার মধ্যে ইন্ডিয়া ও চায়না ভিত্তিক পাবলিকেশন গুলি একটু বেশিই ডমিনেন্ট । এদের ওয়েবসাইটে কন্টাক্ট এড্রেসে রিজিওনাল অফিস হিসেবে আমেরিকা, ইউকে, অস্ট্রেলিয়ার ঠিকানাও দেয়া থাকে। কিন্ত এসব এড্রেস ভুয়া। পাবলিকেশন ফি এর বিনিময়ে, নাম-মাত্র সময়ে পেপার জমা দেবার ( হয়তো এক সপ্তাহ/ দু/তিন সপ্তাহ) এর মধ্যে এরা এক্সেপ্টেন্স নোটিফিকেশন পাঠিয়ে, ফি নিয়ে সাথে সাথে পাবলিশ করে দেয়! আপনি হয়তো মহাখুশি যে আপনার প্রথম পেপার পাবলিশ হয়েছে। অথচ এই পাবলিকেশনের কোন ভ্যালুই নেই। আর প্রিডেটরি বোগাস কনফারেন্স গুলাতে আপনি যে পেপারই জমা দেবেন একসেপ্ট হবে। আপনি কনফারেন্স গিয়ে প্রেজেন্ট করেও আসবেন কিন্ত ওই খানে আপনার মত আরো দশজন যারা এসব বোগাস কনফারেন্স সম্পর্কে জানেন না তারাই উপস্থিত থাকবে, বুঝতেও পারবেন না যদি আগে থেকে না জানেন। আপনি চাইলে পরীক্ষা করে দেখতে পারেন, কিছু টেকনিক্যাল কাল্পনিক jargon সমৃদ্ধ একটা বানোয়াট পেপার লেখেন, কিছু কল্পনিক গ্রাফ দেন, এবং কোন বোগাস কনফারেন্স এ জমা দেন, দেখবেন একসেপ্ট করছে কয়েকদিনা পর। এসব বোগাস কনফারেন্স জাস্ট টাকা কামানোর জন্য আয়োজন করা হয়।
প্রিডেটরি পাবলিকেশনের শিকার কারা হয় বেশি ?
বাংলাদেশের অনেক আন্ডারগ্র্যাডদের পিয়ার-রিভিউ, জার্নাল সাইটেশন রিপোর্ট (JCR), SSCI, SCI ইত্যাদি সম্পর্কে সম্যক ধারনা না থাকায় তারাই সবচে বেশি এই প্রিডেটরি পাব্লিকেশন এর শিকার হয়। দুর্ভাগ্যক্রমে, আমার নিজের অভিজ্ঞতাতেও দেখেছি দেশের কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাকাল্টিরাও সমানে প্রিডেটরি জার্নালে পাব্লিকেশন করেই যাচ্ছে , কার কত পাবলিকেশন ও প্রমোশন সেটার নোংরা খেলায় মেতে গিয়ে। কিছু ক্ষেত্রে নিজের অজান্তে আবার কিছু ক্ষেত্রে জেনে শুনেই। দেশে আপনার সুপারভাইজার যদি আপনাকে প্রিডেটরি জার্নালে পাবলিকেশনের জন্য বলে, তার সাথে খোলামেলা সম্মানের সাথে আলোচনা করুন ।
প্রিডেটরি পাবলিশারদের চিনবেন কিভাবে?
Jeffrey Beall একটা লিস্ট বানিয়েছেন প্রিডেটরি পাবলিশারদের https://beallslist.weebly.com/ তিনি বিশ্ব-বিখ্যাত একজন লাইব্রেরিয়ান। উইকিপিডিয়াতে তার সম্পর্কে জানতে পারবেন। লিস্টের মধ্যে যদি আপনার জার্নালের নাম খুঁজে পান, তাহলে ১০০ হাত দূরে থাকুন ওই জার্নাল থেকে। বাইরের দেশের প্রফেসররা এইসব প্রিডেটরি পাবলিকেশন সম্পর্কে অনেক স্ট্রিক্ট। আপনার সিভিতে এই টাইপের পাবলিকেশনের রেকর্ড দেবেন মানে হচ্ছে আপনার ইম্প্রেশন প্রফেসরের কাছে নষ্ট হবে।
প্রিডেটরি পাবলিকেশন সম্পর্কে আরো জানতে পড়ুন:
https://en.wikipedia.org/wiki/Predatory_open-access_publishing
রিলায়েবল জার্নাল সম্পর্কে কিভাবে জানবেন?
Clarivate Analytics এর মাস্টার জার্নাল লিস্ট ঘাটুন, এখানকার প্রতিটা জার্নাল রেপিউটেড: http://mjl.clarivate.com/
Scopus এর লিস্ট ঘাটুন: https://www.scopus.com/sources
Agriculture, Biology, and Environmental science list:
http://mjl.clarivate.com/cgi-bin/jrnlst/jlresults.cgi?PC=A
Business related journal list:
http://mjl.clarivate.com/cgi-bin/jrnlst/jlresults.cgi?PC=BC
Arts and Humanities list:
http://mjl.clarivate.com/cgi-bin/jrnlst/jlresults.cgi?PC=Y
Life science related list:
http://mjl.clarivate.com/cgi-bin/jrnlst/jlresults.cgi?PC=P
Engineering and technology related list:
http://mjl.clarivate.com/cgi-bin/jrnlst/jlresults.cgi?PC=T
এছাড়া সাবজেক্ট ওয়াইজ যার যার ফিল্ড সেসব ফিল্ডের টেকনিক্যাল সোসাইটির ওয়েবসাইট ঘাটতে শিখুন। ফিজিক্সের হলে APS/AIP এর ওয়েবসাইট এ যান, সেখানে জার্নাল/কনফারেন্স গুলা সম্পর্কে ধারণা নিন। সেইমভাবে, EEE হলে IEEE/IET এর ওয়েবসাইটে জার্নাল/কনফারেন্স লিস্ট চেক করুন, সিভিল, মেকানিক্যাল, কম্পিউটার হলে ASCE, ASME, ACM ইত্যাদি সোসাইটির জার্নাল/কনফারেন্স গুলা দেখুন। এভাবে যার যার সাবজেক্ট এর টেকনিক্যাল সোসাইটি সম্পর্কে আগে জানুন, ওই সোসাইটি গুলিই বিভিন্ন ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স আয়োজন করে, সেগুলা সম্পর্কে জানার চেষ্টা করুন।
রিলায়েবল কনফারেন্স সম্পর্কে কিভাবে জানবেন?
কনফারেন্স দু ধরণের হয়। ইন্টারন্যাশনাল ও ডোমেস্টিক।
আপনার সাবজেক্ট যাই হোক, বায়োলজি, ফিজিক্স, কেমিস্ট্রি, ইকোনোমিক্স, CSE, EEE ইত্যাদি প্রতিটা সাবজেক্টের লার্নেড ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি আছে। সেই সোসাইটিগুলাই ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স এর আয়োজন করে থাকে।
আর বিভিন্ন লোকাল ইউনিভার্সিটি গুলা লোকাল ডোমেস্টিক কনফারেন্সগুলার আয়োজন করে থাকে, যেগুলার মান ও কোয়ালিটি ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স থেকে অনেক পিছিয়ে। আমার মতে, যেখানে এডমিশনের সময় সারা বিশ্বের ক্যান্ডিডেটদের সাথে ফান্ডিং এর লড়াইয়ে আপনাকে নামতে হবে সেখানে ডোমেস্টিক কনফারেন্স এর পাবলিকেশন আপনার সিভিতে খুব একটা ভ্যালু এড করবে না। নিজের পেপারের স্ট্যান্ডার্ড একটু কষ্ট করে হলেও বাড়িয়ে, বরং ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্সেই পাব্লিশের চেষ্টা করুন।
আর সবচে বড় ব্যাপার কনফারেন্সের ওয়েবসাইট দেখুন। অর্গানাইজিং কমিটির মেম্বারদের প্রোফাইল/এফিলিয়েশন দেখুন। ইনভাইটেড স্পিকারদের প্রোফাইল দেখুন। অনেক বোগাস কনফারেন্স তাদের কমিটিতে/ইনভাইটেড স্পিকার সেকশনে প্রফেসরদের নাম এফিলিয়েশন এড করে দেয় তাদের অজান্তেই। অতএব সন্দেহ হলেই, ওই প্রফেসরকে ইমেল করে ভদ্র করে জিজ্ঞেস করুন তিনি সত্যি সত্যি অর্গানাইজিং কমিটিতে বা স্পিকার হিসেবে আছেন নাকি। আর হ্যা, ইমেলটা যেন প্রফেসরের নিজের ইউনিভার্সিটির ইমেল হয়, ইয়াহু, জিমেল হলে সন্দেহ বেশি করবেন আরো। এরপরেও যদি কনফারেন্স/জার্নালের কোয়ালিটি নিজে বুঝতে না পারেন, আমাকে জানাবেন, আমি নিশ্চিত করে জানানোর চেষ্টা করবো।
আরেকটা ব্যাপার, অনেকেই উল্লেখ করেন IEEE কনফারেন্স পাবলিকেশন। আসলে IEEE লোগো কনফারেন্স ব্যানারে দিলেই IEEE কনফারেন্স হয়ে যায় না। আগে দেখুন কনফারেন্সটি IEEE ওয়েব সাইটে নিবন্ধিত কিনা https://www.ieee.org/conferences/index.html তারপর দেখুন IEEE এর কোন স্পেসিফিক টেকনিক্যাল সোসাইটি এই কনফারেন্স এর টেকনিক্যাল স্পনসর। IEEE তে অনেক সোসাইটি আছে যেমন - আপনি যদি ফোটোনিক্স নিয়ে রিসার্চ করেন তবে photonics society তে খোঁজ নিন. এই সোসাইটির ওয়েবসাইটে কনফারেন্স লিস্ট/নিউজ সেকশন/ প্রমোশন সেকশন চেক করে দেখুন কোন তথ্য আছে কিনা ওই কনফারেন্স নিয়ে: https://www.photonicssociety.org/conferences
এরকম রিসার্চ রিলেটেড আলাদা আলাদা সোসাইটি আছে -https://www.ieee.org/communities/societies/index.html?WT.mc_id=com_lp_soc
এখান থেকে আপনি যে ফিল্ডে কাজ করেন সেই সোসাইটির ওয়েবসাইট সম্পর্কে জানুন, কনফারেন্স এলার্ট অন করে রাখুন। ভবিষ্যতে কাজে লাগবে।
অন্যান্য সাবজেক্টের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। আগে নিজের ফিল্ডের টেকনিক্যাল সোসাইটি সম্পর্কে সম্যক ধারণা নিন। তাদের ওয়েবসাইট গুলা নিয়মিত ঘাটুন। ওখানেই বিভিন্ন কনফারেন্সের নিউজ আপডেট দেখবেন পাবেন।
প্রিডেটরি অনলাইন কনফারেন্স
কোভিড-১৯ সিচুয়েশনে এখন সব কনফারেন্স অনলাইনে হওয়ায় রিসার্চ নিয়ে অনেক অনভিজ্ঞ শিক্ষার্থীরা প্রিডেটরি কনফারেন্সগুলোর শিকার হচ্ছে বেশি। আবার অনেক শিক্ষার্থী কনফারেন্সের পোস্টারে international শুব্দটা দেখে আকৃষ্ট হয়ে সেই প্রিডেটরি কনফারেন্সের ক্ষপ্পরেই পরে যায়। অথচ international শুব্দটা লাগিয়ে দিলেই কিন্ত কনফারেন্স আন্তর্জাতিক হয়ে যায় না। সেসব চিহ্নিত করার কিছু উপায় নিয়েই এই লিখাটা। যারা রিসার্চের দুনিয়ায় সবে পা রেখেছেন, বা রাখতে যাচ্ছেন আশা করছি তাদের জন্য সহায়ক হবে।
প্রিডেটরি পাবলিকেশনের শিকার কারা হয় বেশি ?
বাংলাদেশের আন্ডারগ্র্যাডদের অনেক শিক্ষার্থীরা পিয়ার-রিভিউ, সাইটেশন, জার্নাল সাইটেশন রিপোর্ট (JCR), Social Science Citation Index (SSCI), Science Citation Index (SCI), Science Citation Index Expanded (SCIE) ইত্যাদি সম্পর্কে সম্যক ধারনা না থাকায় তারাই সবচে বেশি এই প্রিডেটরি পাব্লিকেশন এর শিকার হয়। দুর্ভাগ্যক্রমে, দেশের কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাকাল্টিরাও সমানে প্রিডেটরি জার্নালে পাব্লিকেশন করেই যাচ্ছে , কার কত পাবলিকেশন ও প্রমোশন সেটা করতে গিয়ে।
প্রিডেটরি পাবলিকেশন কি? কারা আছে এর পিছনে?
ভাল-মন্দ সব খানেই ব্যবসা চলে এসেছে। দুর্ভাগ্যজনক ভাবে, অনেক আগে থেকেই কিছু অসাধু লোক টাকা কমানোর ধান্ধায় এই প্রিডেটরি জার্নাল ও কনফারেন্স চালু করেছে, যার মধ্যে ইন্ডিয়া ও চায়না ভিত্তিক পাবলিকেশন গুলি একটু বেশিই ডমিনেন্ট ।
যেসকল কনফারেন্স ও জার্নাল মেইন স্ট্রিম রিসার্চ সায়েন্সটিস্ট ও রিসার্চ কমিউনিটিতে স্বীকৃত নয়, এবং যারা কিনা টাকার বিনিময়ে যেকোন কোয়ালিটিবিহীন অখাদ্য কুখাদ্য পেপার নামকাওয়াস্তে টাইমে দ্রুত পাবলিশ করে অনলাইনে তাদেরকে প্রিডেটরি পাবলিশার বলে এবং এই ধরণের পেপারকে প্রিডেটরি পেপার বলে। এগুলা যদি সিভিতে রাখেন, এবং সেই সিভি কোন ইউরোপ, আমেরিকার প্রফেসর দেখেন, আপনার জন্য ব্যাড ইম্প্রেশনের কারণ হবে।
এসব প্রিডেটরি পাবলিশারদের ওয়েবসাইটে কন্টাক্ট এড্রেসে রিজিওনাল অফিস হিসেবে আমেরিকা, ইউকে, অস্ট্রেলিয়ার ঠিকানাও দেয়া থাকে। কিন্ত এরা অপারেট করে এক জায়গা থেকে কিন্ত হয়তো সেই এড্রেস দেয়া থাকে না। পাবলিকেশন ফি এর বিনিময়ে, নাম-মাত্র সময়ে পেপার জমা দেবার ( হয়তো 1-2 সপ্তাহ এমনকি দিনে দিনে) এর মধ্যে এরা এক্সেপ্টেন্স নোটিফিকেশন পাঠিয়ে, ফি নিয়ে সাথে সাথে পাবলিশ করে দেয়! অথচ একটা ভালো জার্নালে পেপার রিভিউ হতে ১-৬ মাস+ লাগে এবং মাল্টিপল টাইম রিভিশনের প্রয়োজন হতে পারে। আপনি হয়তো মহাখুশি যে আপনার প্রথম পেপার এত দ্রুত রিভিউ হয়ে পাবলিশ হয়েছে তাও রিভিশন ছাড়া। তার মানে আপনার কাজটা সুপার ট্যালেন্টেড টাইপের কিছু একটা ছিল!অথচ এই পাবলিকেশনের কোন ভ্যালুই নেই।
শুধু কি প্রিডেটরি কনফারেন্স হয় নাকি প্রিডেটরি জার্নালও হয়?
প্রিডেটরি কনফারেন্স ও জার্নাল দুটাই হতে পারে। এই লিখাটি মূলত প্রিডেটরি কনফারেন্স নিয়ে । তাও প্রিডেটরি জার্নাল নিয়ে দু লাইন একটু এড করে দিচ্ছি। প্রিডেটরি কনফারেন্সের মত জার্নালগুলোও নামক ওয়াস্তে টাইমে যেকোন পেপার একসেপ্ট করে ফেলবে টাকার বিনিময়ে। প্রিডেটরি জার্নালের একটা লিস্ট বানিয়েছেন Jeffrey Beall নামের একজন বিখ্যাত লাইব্রেরিয়ান: https://beallslist.net এই লিস্টে জার্নাল গুলা প্রিডেটরি, তাই নিজের পেপার এখানে কোন জার্নালে পাবলিশ করা থেকে বিরত থাকুন।
প্রিডেটরি কনফারেন্সগুলোতে কি কি দেখতে পাবেন?
আপনি ঐসব বোগাস কনফারেন্সে গিয়ে প্রেজেন্ট করেও আসবেন কিন্ত ওই খানে আপনার মত আরো দশজনই উপস্থিত থাকবে যারা অনভিজ্ঞ, বুঝতেও পারবেন না যদি আগে থেকে না জানেন। এইসব বোগাস কনফারেন্স গুলি বেশিরভাগ ইন্ডিয়াতে আর চায়নাতে হয়। ইন্ডিয়ার এসব প্রিডেটরি কনফারেন্সের অনুষ্ঠানগুলি এরা ভিডিও করে, ছবি তুলে ওয়েবসাইটে দিয়ে রাখে- বিজ্ঞাপন করে, পরবর্তী শিকার ধরার জন্য। আপনি ইন্ডিয়ার এসব বোগাস কনফারেন্স গুলিতে গেলে বা এসব বোগাস কনফারেন্সের ছবিগুলা দেখলে দেখবেন কনফারেন্স উদ্বোধন এরা বিভিন্ন স্থানীয় ধর্মীয় রীতি নীতি টাইপের যেমন মঙ্গল প্রদীপ জ্বালানো টাইপের একটিভিটি দিয়ে করতেছে!! শতভাগ নিশ্চিত থাকেন ইন্টারন্যাশনাল কোন সায়েন্সটিস্টদের কনফারেন্স কখনো এরকম লোক্যাল ধর্মীয় একটিভিটি দিয়ে উদ্বোধন হবে না। এরকম কিছু দেখলেই বুঝবেন আপনি বোগাস কনফারেন্স এটেন্ড করতেছেন।
বোগাস প্রিডেটরি কনফারেন্স ও ভালো ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স দুটাতেই টাকা লাগে তাহলে দুটার পার্থক্য কি?
ইন্টারন্যাশনাল ভালো কনফারেন্সগুলিতেও পেপার পাবলিশ করতে টাকা লাগে কিন্ত অর্গানাইজিং কমিটি মেম্বারদের প্রত্যেকেই সনামধন্য ইউনিভার্সিটির প্রফেসর। একটা কনফারেন্স আয়োজন করতে হোটেল ভেন্যু, লজিস্টিকস খরচ আছে সেগুলার জন্য ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্সগুলো টাকা চার্জ করে। কিন্ত বোগাস কনফারেন্সগুলো যে টাকা নিবে তার শতভাগ জলে যাবে নিশ্চিত থাকুন। আপনি চাইলে পরীক্ষা করে দেখতে পারেন, কিছু টেকনিক্যাল কাল্পনিক jargon (প্রযুক্তিগত পরিভাষা) সমৃদ্ধ একটা বানোয়াট পেপার লেখেন, কিছু কল্পনিক গ্রাফ দেন, এবং ওইসব বোগাস কনফারেন্সে জমা দেন, দেখবেন একসেপ্ট করছে। এগুলা জাস্ট টাকা কামানোর জন্য আয়োজন করা হয়। এগুলা নিয়ে অনেক বাস্তব রিপোর্ট বের হয়েছে, সেগুলা গুগল করলেই পেয়ে যাবেন। অনেক সনামধন্য ইউনিভার্সিটির প্রফেসরগণ নিজেদের ব্যক্তিগত ব্লগে এসব নিয়ে লিখেছেন, যে তারা এরকম কাল্পনিক পরিভাষা দিয়ে, আরো কিছু কাল্পনিক গ্রাফ বানিয়ে নিজের পোষা কুকুর-বিড়ালের নাম পেপারের অথার হিসেবে দিয়ে ঐসব বোগাস কনফারেন্স জমা দিয়ে এক্সেপ্টড হয়েছেন, এসব নিয়ে মজা করে লিখেছেন অনেকেই ব্লগে।
কিভাবে প্রিডেটরি/ বোগাস কনফারেন্সগুলি চিহ্নিত করবেন?
International শুব্দটা লাগিয়ে দিলেই কিন্ত কনফারেন্স আন্তর্জাতিক হয়ে যায় না। আন্তর্জাতিক কনফারেন্স আয়োজন করার জন্য Technical Program Committee (TPC) সহ আয়োজক কমিটি (organizing committee),পেপার রিভিউ কমিটি থাকে যাদের মধ্যে প্রফেসর কিংবা ইন্ড্রাস্ট্রির R&D তে কাজ করছে এমন সায়েন্টিস্টগন থাকেন। এদের কাজ জমাকৃত সমস্ত পেপার রিভিঊ করে এক্সেপ্ট বা রিজেক্ট ডিসিশন দেয়া শুরু করে, কনফারেন্স আয়োজনের যাবতিয় খুটিনাটি দেখভাল করা। একারনে একটা কনফারেন্স আদৌ রিলায়েবল নাকি বোগাস সেটা বোঝার উপায় হলো ওই কনফারেন্স এর ওয়েবসাইটে গিয়ে organizing committee, Technical program committee, invited speaker etc. committee তে থাকা লোকজনদের প্রোফাইল দেখা যে আদৌ তাদের এফিলিয়েশন কোন ভালো ইউনিভার্সিটির কিনা বা তারা আদৌ ভাল কোন ভার্সিটির প্রফেসর কিনা।
অনেক বোগাস প্রিডেটরি কনফারেন্স তাদের কমিটিতে/ইনভাইটেড স্পিকার সেকশনে অনেক প্রফেসরদের নাম এফিলিয়েশন এড করে দেয় তাদের অজান্তেই। অতএব সন্দেহ হলেই, ওই প্রফেসরকে ইমেল করে ভদ্রভাবে জিজ্ঞেস করতে পারো তিনি সত্যি সত্যি অর্গানাইজিং কমিটিতে বা স্পিকার হিসেবে আছেন নাকি। আর হ্যা, ইমেলটা যেন প্রফেসরের নিজের ইউনিভার্সিটির ইমেইল হয়, ইয়াহু, জিমেইল হলে সন্দেহ বেশি করবেন,আরো।
সন্দেহ হলেই নিচের মত ইমেইল লিখে প্রফেসরদের পাঠাতে পারেন যাচাইয়ের জন্য আসলেই কি তারা অর্গানাইজিং/টিপিসি তে আছেন নাকি ওই কনফারেন্সের। এসব ব্যাপারে তারা অনেক কো-অপারেটিভ।
Dear prof. Dr. last name,
I am XYZ from Bangladesh. I was planning to submit my paper in ABC conference and so I was browsing through the organizing committee and found you as one of the members of the committee (here, give full details and link).
Could you please confirm if you are in the organizing the committee.
Thank you very much.
Sincerely Yours,
Your Name and affiliation
আশা করি তথ্যগুলি কাজে লাগবে সবার। পেপারের কোয়ান্টিটি না বরং কোয়ালিটির উপর মন দিন।সবাই ভালো থাকুন। আল্লাহ হাফেয।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে আন্ডারগ্রাড রিসার্চ
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে আন্ডারগ্র্যাড এবং মাস্টার্সের লেভেলেও জার্নাল পাবলিকেশন অনেক দুরহ ব্যাপার সেটা আমরা কম বেশি সবাই জানি। সেকারণেই ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্সগুলা টার্গেট করতে পারেন। আর বিভিন্ন ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স রেজিস্ট্রেশন ফি বাংলাদেশের মত স্বল্প-উন্নত দেশের জন্য ওয়েইভ করে দেয়, ট্রাভেল গ্রান্টসও দেয়। সব কিছুর জন্য প্রপার প্ল্যানিং লাগে। আগামী লেখায় বিস্তারিত তুলে ধরবো কিভাবে প্ল্যান করে আগালে রেপিউটেড ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্সগুলাতে পাবলিকেশন করতে পারবেন। এবং প্রিডেটরি জার্নাল ও বোগাস সি গ্রেডের কনফারেন্সগুলার হাত থেকে দূরে থাকুন, ভবিষ্যৎ রিসার্চার হিসেবে নিজের ইন্টিগ্রিটি বজায় রাখুন।