US Visa Application from Canada


This document is originally written by Masum Chowdhury, International Business (Seneca College).


Year of Publication: 2017


©PBSCU Any unauthorized use of these articles, including copying or editing is prohibited. If you want to use the article, you need to take permission from us: pbscuadm@gmail.com or from the author and you must mention the author's name and the group's name in all cases.



৭ ধাপে আমেরিকান ভিসা পাওয়ার সহজ উপায়ঃ

Original Post Link: https://www.facebook.com/groups/caabpbscu/permalink/1648368785183665


কানাডায় এসে আমেরিকা ঘুরে না দেখা অনেকটা পুরান ঢাকায় গিয়ে কাচ্চি বিরিয়ানি না খেয়ে ফিরে আসার মত। পৃথিবীর অন্যান্য দেশের তুলনায় কানাডা থেকে আমেরিকার টুরিস্ট ভিসা পাওয়া অনেকটা সহজ ও সময় সাশ্রয়ী। এর অন্যতম কারণগুলো হচ্ছেঃ


➢ টিউশন ফিস কানাডার তুলনায় বেশি।

➢ স্টুডেন্টদের ইমিগ্রেসন প্রসেস কানাডার তুলনায় জটিল এবং সময় সাপেক্ষ।

➢ জীবনযাত্রার ব্যয় তুলনামূলক বেশি।

➢ কানাডার মত স্বাস্থ্যসেবা নেই। ইত্যাদি ইত্যাদি...


আমেরিকান ইমিগ্রেসন অফিসাররা জানে কানাডার একজন স্টুডেন্ট বা ফরেন ওয়ার্কার কখনোই ভিজিট ভিসায় গিয়ে থেকে যাবেনা। তাছাড়া এই দুদেশর সিকিউরিটি স্ক্রীনিং যেহেতু প্রায় একই তাই তারা আবার নতুন করে ঘেঁটে দেখে না যদি না ভিসা প্রার্থীর নাম কোন নামকরা সন্ত্রাসীর সাথে মিলে যায়।


তাই প্রায় প্রতিটি স্টুডেন্টই কানাডা আসার বছরখানেক এর মধ্যেই আমেরিকার ভিজিট ভিসা (B1/B2) নিয়ে নেয়। এই ভিসা থাকার কিছু সুবিধা পরবর্তীতে পাওয়া যায়। যেমনঃ


➢ পৃথিবীর অন্য দেশের ভিসা পেতে তেমন বেগ পেতে হয় না।

➢ আমেরিকান বা সেনজেন ভিসা থাকলে অনেক দেশ ই-ভিসা দিয়ে দেয় কোন রকম ফর্মালিটি ছাড়া। ইত্যাদি ইত্যাদি...


এখন আসি কিভাবে এই ভিসা কিভাবে পাওয়া যাবেঃ


Step 1: এই ওয়েবসাইটে -> https://ceac.state.gov/genniv/ গিয়ে দেশ ও যে শহর থেকে ভিসা অ্যাপ্লাই করবে তা সিলেক্ট করে “Start an application” ক্লিক করতে হবে। পরের পেইজের উপরের দিকে হাঁটের দান দিকে “AA007EGLPI” এর মত দেখতে যে “Application ID” টা থাকবে সেটা কোথাও লিখে রাখতে হবে।


Step 2 : সিকিউরিটি কোয়েসচেন সিলেক্ট করে একে একে Personal info, Address and Phone, Passport info, Travel, Travel Companion, Previous U.S. Travel (if any), U.S. contact (যেখানে বা যার কাছে গিয়ে উঠবেন), Family info, Work/Education info, Security and Background এর সব গুলা ফর্ম পূরণ করতে হবে। এখানে বলে রাখা ভাল যদি কোন বন্ধু বা আত্মীয়র নাম এবং ঠিকানা ব্যবহার করা হয় তাহলে তাদের আগের থেকে বলে রাখতে হবে যেন ইমিগ্রেসন থেকে যোগাযোগ করলে ঠিক ঠিক উত্তর দেয়।


Step 3: একটা রিসেন্ট তোলা পাসপোর্ট সাইজের ছবির স্ক্যানকপি আপলোড করতে হবে। একই ছবির দুটি হার্ড কপি ইন্টার্ভিউয়ের দিন লাগবে।


Step 4: ভিসা ফী পরিশোধ করে ইন্টার্ভিউয়ের দিন তারিখ নির্ধারণ করতে হবে। B1/B2 Visa Fee USD $160 (+/-CAD $200). ইন্টার্ভিউয়ের তারিখ ও স্থানসহ একটা কনফার্মেশন ইমেইল আসবে যা ইন্টার্ভিউয়ের দিন প্রিন্ট করে সাথে নিয়ে যেতে হবে।


Step 5: ইন্টার্ভিউয়ের সময়ের এক ঘণ্টা আগে কন্সুলার/এম্বাসির গেইটে নিম্নলিখিত ডকুমেন্টগুলসহ হাজির থাকতে হবেঃ

➢ ইন্টার্ভিউ কনফার্মেশন ইমেইলের কপি

➢ পাসপোর্ট (ভ্যালিড), পুরাতন পাসপোর্টে আমেরিকান ভিসা থাকলে সেটাও নিতে হবে। অনেক সময় পুরাতন ভিসা দেখতে চায় ইমিগ্রেসন অফিসার।

➢ কানাডিয়ান স্টাডি পারমিট বা ওয়ার্ক পারমিট বা PR card

➢ অফিসিয়াল একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট/এমপ্লয়মেন্ট লেটার।

➢ Invitation Letter/নিমন্ত্রণপত্র।

➢ প্রুফ অফ এনরোল্মেন্ট (চলমান বা/এবং পরবর্তী সেমেস্টার) বা ফি পরিশোধের রসিদ।

➢ ওয়ার্ক পারমিট বা PR হোল্ডার হলে T4, NOA, Recent Pay Stabs, Employemnt letter.

➢ পর্যাপ্ত টাকাসহ কানাডিয়ান Bank Statement (অনেক ব্যাংক এটাকে Account Portfolio-ও বলে)

➢ দুটি পাসপোর্ট সাইজের ছবি (22 mm and 35 mm)


ভিসা ইন্টার্ভিউয়ের আগে কয়েকটা লাইন পার হয়ে তারপর ইন্টার্ভিউতে যেতে হয়। ইন্টার্ভিউয়ের ঠিক আগ দিয়ে দুই হাতের ছাপ নেয়া হয়। তারপর বাসের টিকেট কাউন্টারের মত কাচের গ্লাসে আচ্ছাদিত একটা কাউন্টারে একজন ইমিগ্রেসন অফিসার কিছু বেসিক প্রশ্ন করে থাকে। এই যেমনঃ কোথায় থাকেন? কি করেন? আমেরিকা কেন যাবেন? কার কাছে যাবেন? কতদিন থাকবেন? পড়ালেখা কবে শেষ হবে/হয়েছে? এখন কি করছেন? কানাডায় স্ট্যাটাস কি? কবে এসেছেন? এই টাইপের প্রশ্ন।


এসব প্রশ্নের উত্তর যতটা ক্যাজুয়ালি আর কনফিডেন্টলি দিতে পারবেন ইন্টার্ভিউয়ের দৈর্ঘ্যও ততো ছোট হবে। ইন্টার্ভিউয়ের শেষে অনেক অফিসার বলে দেয় “Your visa is approved. Pick up in passport next week”, আবার কিছু অফিসার পাসপোর্ট রেখে দিয়ে একটা কাগজ ধরিয়ে দিয়ে সাসপেন্স বজায় রাখে। তবে পাসপোর্ট রেখে দিলে ৯৯% ক্ষেত্রেই ভিসা এপ্রুভ হয়।


Step 6: ট্র্যাকিং ইনফরমেশন দেখে নিজের নির্বাচিত স্থানে (Canada Post Office) গিয়ে passport কালেক্ট করতে হয়। বাংলাদেশি পাসপোর্টে টেম্পোরারি রেসিডেন্টদের সচরাচর ৫ বছরের আর পার্মানেন্ট রেসিডেন্টদের ১০ বছরের মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা দেয়া হয়।


Step 7: যদিও এই স্টেপে এসে ডকুমেন্ট লেখককে একটা ধন্যবাদ দেয়া মোটামুটি “ফরজে আইন” পর্যায়ে পরে কিন্তু পাঠকেরা ট্রাম্পল্যান্ডে যাওয়ার আকুলতার তা ভুলে গিয়ে বাস না প্লেনের টিকেট কাটতে বসে পরে। আর লেখক? “৭ ধাপে সেনজেন ভিসা পাওয়ার সহজ উপায়” লিখবে কি লিখবে না তা নিয়ে ভেবে মরে।