কানাডাতে উচ্চশিক্ষা - শুন্য থেকে শুরু করে
স্কলারশিপ অথবা ফান্ডিং এর ব্যবস্থা করা
This document is originally written by Md. Shopon, M.Sc. Candidate in Computer Science (University of Calgary).
©PBSCU Any unauthorized use of these articles, including copying or editing is prohibited. If you want to use the article, you need to take permission from us: pbscuadm@gmail.com or from the author and you must mention the author's name and the group's name in all cases.
উচ্চশিক্ষায় যাওয়া অনেকেরই অনেক লম্বা সময়ের স্বপ্ন থাকে অথবা একটা নির্দিষ্ট সময়ের পর অনেকের ই এই স্বপ্ন টা মনে বাসা বুনতে থাকে। কিন্তু অনেক সময় সঠিক রাস্তা খুঁজে না পাবার কারণে অনেকেই এই স্বপ্ন টা সার্থক করতে পারে না। আমি এই লিখাটিতে চেষ্ঠা করব কিভাবে ফুল ফান্ডিং অথবা স্কলারশিপ নিয়ে স্নাতকোত্তর/মাস্টার্স করার জন্য নিজেকে তৈরি করতে হবে। সাথে কিছু প্রশ্নের উত্তর ও আমি দিয়ে দিবো যেগুলো সচরাচর অনেকেই করে থাকে। আমার এই লিখা টা খুব বেশি কাজে দিবে যারা ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে স্নাতক করেছেন তাদের জন্য। এই লিখাটি বাংলা এবং English দুইটা ভাষা ব্যাবহার করে লেখা। বাংলা বানান টাইপিং এর কারণে ভুল হয়ে থাকতে পারে, ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টি তে দেখবেন।
“Prospective Bangladeshi Students in Canadian Universities (PBSCU)” নামে ফেইসবুক এ একটি কমিউনিটি আছে। যাদের কানাডা তে পড়াশুনা করার ব্যাপারে ইচ্ছা আছে তাদেরকে বলব অবশ্যই আপনারা এই গ্রুপে জয়েন করবেন। আমি আমার উচ্চশিক্ষার ব্যাপারে প্রচুর হেল্প পেয়েছি এই গ্রুপ থেকে এবং এখানে অনেক সুন্দর সুন্দর গাইডলাইন আছে। আমি আমার এই ব্লগ পোস্টে অনেক যায়গা তেই তাদের বিভিন্ন ডকুমেন্ট কে রেফারেন্স হিসেবে দিব। বিভিন্ন সাবজেক্ট ভিত্তিক গাইডলাইন এর জন্য এই ডকুমেন্ট টা একটু দেখতে পারেন। কানাডা তে পরতে যাবার সম্পুর্ন টাইমলাইন টা নিচেে দেখে নিতে পারেন। মূলত এই সম্পুর্ন লিখা তে আমি এই টাইমলাইন টাকেই ভেঙ্গে ভেঙ্গে আলোচনা করব।
অনেকের কিছু খুব কমন প্রশ্ন থাকে যাবার আগে, সেইরকম কিছু কমন প্রশ্নের উত্তর এখানে দিচ্ছি।
প্রশ্নঃ আমার সিজিপিএ ভালো না, আমি কি স্কলারশিপ পাবার আশা করতে পারি?
This portion has been written by Dr. Abdullah Al Maruf (University of Toronto). Collected from PBSCU.
গ্রুপ এ প্রতিদিন ই কিছু কমন প্রশ্ন আসে, যেমনঃ
আমার CGPA কম, আমি কি কানাডাতে ফান্ড সহ পড়তে পারবো না?
আমার কোন পাব্লিসড পেপার নেই, আমি কি কানাডাতে ফান্ড সহ পড়তে পারবো না?
এই প্রশ্ন গুলির উত্তর আমি খুব সর্ট এ বুজিয়ে বলবো। আশা করি এই পোস্ট পড়ার পর এই বিষয়ে আপনাকে আর পোস্ট দিতে হবে না। এই পোস্টটি বাংলা এবং English দুইটা ভাষা ব্যাবহার করে লেখা। বাংলা বানান ভুল থাকতে পারে।
What makes you a perfect candidate for a graduate student position (funded and thesis-based) in Canada?
CGPA:
এইটা খুব একটা জরুরী বিষয় না আবার ফেলে দেয়ার মতোও না। যে স্টুডেন্টটা দিন রাত কষ্ট করে ভালো CGPA তুলেছে, আর যে তুলতে পারে নাই তাদের একদম সেইম ভাবা ঠিক না। ভালো CGPA থাকলে প্রোফেসররা বুঝে আপনি গ্রাড স্টুডেন্ট কোর্সওয়ার্ক এ ভালো করবেন। কোর্সওয়ার্ক নর্থ অ্যামেরিকা এর গ্রাড লেভেল এ অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যেয়ে কোর্স এ ফেল করলে আপনার যেমন লজ্জা প্রোফেসার এর ও একই রকম লজ্জা। তবে এই বিষয় এ কিছু টিপস মেনে চলুনঃ
In Bangladesh, different universities use different grading systems (% is not the same). Universities in Canada, use their own system (which they do not disclose always) to calculate your CGPA. Generally, if you have a CGPA 3.0 out of 4.0 scare, you are good to go.
CGPA 3.0 is same as CGPA 4.0, if you do not have any other qualifications (which I will be discussing next).
Some of you may have a low CGPA like 2.5-2.9. This can happen and this low CGPA does not disqualify you to apply for a funded, thesis-based program. If you have a low CGPA, read the next part of this writing. >> If you are from the marks-based program, a first-class (more than) 60% is good enough.
রিসার্চ প্রোফ্রাইল
আপনি যদি গবেষণা করতে চান, একটি Cut-Off CGPA (ধরেন ৩.০) এর পর প্রোফেসর বা ভর্তি কমিটি আপনার CGPA নিয়ে আর গুতাবে না। আপনাকে সে টাকা দেবে গবেষণা করার জন্য তাই তার নেক্সট টার্গেট থাকবে আপনি তার গ্রুপ এ কতোটা কার্যকরী হবেন। অনেক প্রফেসার experienced স্টুডেন্ট চায়, কারন এতে দ্রুতি তার কাজ আগাবে। আবার অনেকে একদম ফ্রেশ (কাজ করতে সদা উৎসাহী) খুজে বেড়ায়। কারন ফ্রেশরা বেশি কথা না বলে বেশি কামলা দেবে। এই বিষয় এ কিছু টিপস মেনে চলুনঃ
আপানার যদি সুপার প্রোফাইল না হয়, তবে সরাসরি ফাইল সাবমিট করে কোন লাভ নাই। (তবে অনেক প্রোগ্রাম সরাসরি আপ্পলাই করতে বলে, কিন্তু তাদের সংখ্যা নগণ্য।
প্রফেসার মেনেজ করুন। কিভাবে ইমেইল করবেন গ্রুপ এ এই বেপারে ফাইল আছে, পড়ুন। প্রোফেসার কাছে আপানার দুইটা জিনিশ খুব গুরুত্বপূর্ণ - এই স্টুডেন্ট তাকে উদ্দেশ্য করে ইমেইলটা করেছে নাকি গণ মেইল! দ্বিতীয়ত, স্টুডেন্ট টা কি পরিমান প্রফ এর ফিল্ড এ কাজ করেছে বা তার ফিল্ড এ কাজ করতে highly motivated কিনা।
Research experience does not mean published papers. In you CV, you must mention what type of research that you did, what techniques that you know and what research output is published or in progress (e.g., is there any paper that you submitted, any conference paper, any thing that you wrote by yourself that reflects your writing skills?). A fully published paper is not necessary for admission.
Scientific Writing skill in English is very important. You could be a very good writer in English but scientific writing is not the same as general writing. Your e-mail and SOPs will reflect that skills - How to communicate with an academic researcher. "Hi Bro" should definitely be avoided. An IELTS score (whether university requires it or not or more than 7.5 will impress a professor whose work needs a good English writer).
If you do not have any research experience, try convincing professors by showing your motivation to the field. In this case, your concept must be clear during e-mail conversations as well as skype interviews. >> Over-qualification is a problem. Most professors will not consider someone for a M.Sc. with a PhD level experiences. Because they know these people may be difficult to control.
শেষ কথা হল, "২" টা খুব গুরুত্বপূর্ণ। "২" তে ভালো করে আপনি low CGPA সমস্যা দূর করতে পারবেন। N.B. Whether you graduated from a public or a private university, does not matter for thesis-based research.
প্রশ্নঃ কি পরিমাণ টাকা পয়সা দরকার হবে পুরো এপ্লিকেশন প্রসেস এ?আমি একটা মোটামুটি একটা সারাংশ দিচ্ছি সম্পুর্ন খরচের
আইএলটিএসঃ ১৯০০০ টাকা
এপ্লিকেশন খরচঃ ৯০০০ টাকা, যদি ৫ টা ইউনিভার্সিটি তে এপ্লাই করেন তাহলে ৪৫০০০ টাকা
ভিসা এপ্লিকেশন খরচঃ ১৫০০০ টাকা
ডকুমেন্ট পাঠানো + ভিসার ডকুমেন্ট প্রিপারেশন বাবদ খরচঃ ১০০০০ টাকা
মোট খরচঃ ১৯০০০ + ৪৫০০০ + ১৫০০০ + ১০০০০ = ৮৯ হাজার টাকা
হ্যাঁ, পরিমাণ টা একটু বেশি অনেকের জন্য। কিন্তু প্রসেস শুরু করার আগে এরকম একটা এমাউন্ট নিজের হাতে রেখে নেয়াটা ভালো। খরচ টা এক্স্যাক্ট না, শুধু মাত্র আপনাদের একটা আইডিয়া দেয়ার জন্য।
প্রশ্নঃ অনেককেই শুনি ভিসার জন্য নাকি অনেক টাকার প্রয়োজন হয়?
আপনি যদি সম্পুর্ন ফান্ডেড হন, তারপরো মাঝে মাঝে আপনার ৬-৭ লক্ষ টাকার একটা ব্যাঙ্ক একাউন্ট দেখাতে হয়। এটার ব্যাপারে এই ডকুমেন্ট এ খুব ভালো জানতে পারবেন।
প্রশ্নঃ পার্ট টাইম কাজ করে কি টিউশন ফি ও অন্যান্য খরচ চালানো যাবে?
This portion has been written by Mahmud Hasan, Writer & Poet (Western University). Collected from PBSCU.
টিউশন ফি একটা বিশাল অঙ্ক, এমবিএ-মেডিক্যাল ধরণের কিছু প্রফেশনাল ডিগ্রি বাদ দিলে হয়তো বলা যেতে পারে গড়ে ২০ হাজার ডলার বছরে টিউশন ফি। তবে একেক প্রভিন্সে একেক রকম টিউশন ফি, একই প্রভিন্সের একেক ইউনিভার্সটিতেও একেক রকম টিউশন ফি, এমনকি একই ইউনিভার্সটির একেক ডিপার্টমেন্টের একেক প্রোগ্রামেও টিউশন ফি একই না। ধরা যাক ইউনিভার্সটি অফ টরন্টোতে আপনি কম্পিউটার সায়েন্সে মাস্টার্স করছেন। এখন কোর্স বেইসড মাস্টার্স আর থিসিস বেইসড মাস্টার্সে কিন্তু একই টিউশন ফি নয়! আবার প্রতি বছরই টিউশন ফি কম বেশি উঠা-নামা করে (আসলে কেবল উঠেই, কখনও নামে না)। কাজেই, বুঝতেই পারছেন, এই বিষয়টা কতটা ভ্যারিয়েবল। একইভাবে, কোন শহরে থাকছেন সেটার উপর ভিত্তি করে বাসা ভাড়া ও অন্যান্য খরচও ভ্যারিয়েবল। অতএব, এই প্রশ্নের জেনারালাইজড কোন উত্তর দেয়া সম্ভব নয়। যেই শহরে যেই ইউনিভার্সটিতে যেই প্রোগ্রামে ভর্তি হচ্ছেন সেটার উপত ভিত্তি করে আপনার পার্ট টাইম কাজের সুযোগ ও সেটার রোজগার ও আপনার খরচ হিসাব করতে হবে। তবে, ইন জেনারেল বলা যায় যে বছরে অন্তত ত্রিশ থেকে পঁয়ত্রিশ হাজার ডলার আপনার লাগবে নিজের খরচে পড়তে আসলে (প্রফেশনাল ডিগ্রি ব্যাতীত)। কানাডায় অড জব করে সর্বোচ্চ মাসিক আয় করা যায় হাজার দুয়েক টাকা (ট্যাক্স কাটার পর), যদি আপনি সারা দিন কাজ করেন পড়াশোনা না করে, অর্থ্যাৎ বছরে ২৪ হাজার টাকা। কাজেই বুঝতেই পারছেন পার্ট টাইম কাজ করলে হাজার পনেরশ এর বেশি পাবেন না মাসে, আর সেক্ষেত্রে আপনাকে একটা বিশাল পরিমাণের টাকা সবসময়ই দেশ থেকে আনতে হবে। মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর এইসবের সাথে কানাডাকে তুলনা করে লাভ নেই। আপনার কাছে দু'টাই 'বিদেশ' হতে পারে, তবে দু'টা সম্পূর্ণ ভিন্ন দেশ, ভিন্ন ব্যবস্থা, ভিন্ন পরিবেশ।প্রশ্নঃ অমুক ওয়েবসাইটে পেয়েছি কানাডার তমুক ইউনিভার্সটিতে টিউশন ফি ছয় হাজার ডলার। এক কথায় বলুন এটা ঠিক না ভুল?আগের প্রশ্নের উত্তরে বলা হয়েছে যে এটা ভ্যারিয়েবল। তবে এটা যদি প্রতি সেমিস্টারের টিউশন ফি হয়, তাহলে কাছাকাছি। পুরো বছরের হলে ঠিক হওয়ার কোন কারণ দেখি না।
প্রশ্নঃ কানাডা তে টিউশন ফি কেমন ?
কানাডার সব বিশ্ববিদ্যালয়ের টিউশন ফি একই রকম হয় না। অঞ্চল ও পড়ানোর প্রোগ্রামভেদে টিউশন ফিও ভিন্ন ভিন্ন হয়। স্থানীয় শিক্ষার্থীদের তুলনায় আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীর টিউশন ফি বেশি হয়। আন্ডারর্গ্যাজুয়েট শিক্ষার্থীদের জন্য খরচ পড়বে ১৭ থেকে ২০ হাজার ইউএস ডলার বা প্রায় ১৩,৫০,০০০ থেকে ১৬,০০,০০০ টাকা। র্গ্যাজুয়েট, ডক্টরাল ও অ্যাসোসিয়েট ডিগ্রির জন্য খরচ পড়বে ১২ হাজার ৫০০ থেকে ২০ হাজার ইউএস ডলার বা প্রায় ১০,০০,০০০ থেকে ১৬,০০,০০০ টাকা।
0. আমার মাস্টার্স করতে কানাডা যাবার অনেক ইচ্ছা, আমি এখনো আমার ব্যাচেলর/অনার্স করছি, আমার কেমন প্রোফাইল রাখা উচিত বা আমার এই সময়ে কি কি করা উচিত?
আপনি যদি এখন এখনো ব্যাচেলর/অনার্স এ অধ্যায়নরত থাকেন এবং এই সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন যে আপনি মাস্টার্স করতে কানাডা যেতে চান, আমি বলব আপনি খুব ভালো একটি সময়ে সিদ্ধান্ত টা নিয়েছেন। আপনার এখন আপনার প্রোফাইলটা ভালো করার সময় আছে। আপনি যদি একটি ভালো ইউনিভার্সিটি তে ফান্ডিং বা স্কলারশিপ নিয়ে পরতে চান, এখন থেকেই আপনাকে আস্তে আস্তে নিজেকে তৈরি করতে হবে। মনে রাখবেন, সিজিপিএ একটা ফ্যাক্টর মাত্র, কিন্তু শুধুমাত্র সিজিপিএ দিয়েই আপনি স্কলারশিপ বা ফান্ডিং ব্যাবস্থা করতে পারবেন না। আমি আপনাদের জন্য নিম্নক্ত কিছু সাজেশন দিচ্ছি যেগুলো আপনাদের করা উচিত অদ্ধ্যায়নরত অবস্থায়।
সিজিপিএ কে কখনো ৩.৫০ এর নিচে না নামতে দেয়ার চেষ্ঠা করবেন, আর যত বেশি রাখা যায় ততই ভালো
রিসার্চ এর কাজের দিকে একটু ফোকাস করার চেষ্ঠা করেন। আপনি চাইলেই যেই কোন একজন টিচার এর সাহায্য নিয়ে রিসার্চ এর কাজ কে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারেন। আপনি যদি ১-৩ টা পাবলিকেশন নিয়ে আপনার যাত্রা শুরু করেন, আমি হলফ করে বলব আপনার জন্য অনেককিছু খুব সহজ হবে। কারণ আপনার রিসার্চ এবং পাবলিকেশন এর ভ্যালূ অনেক বেশি।
কিছু এক্সট্রা এবং কো কারিকুলার এক্টিভিটির সাথে সম্পৃক্ত থাকার চেষ্ঠা করবেন। প্রফেসর রা রিসার্চ এর পাশাপাশি এই জিনিসগুলোকেও খুব ভালো চোখে দেখে
আই এল টি এস এর প্রিপারারেশন নিতে থাকেন আস্তে আস্তে করে
যদি সম্ভব হয় জি আর ই ড় জন্য যেই শব্দ গুলো মুখস্ত করতে হয়, অল্প অল্প করে সেই শব্দ গুলো শিখে ফেলেন। তাহলে আপনার জন্য কাজ টা আরও সহজ হয়ে যাবে।
নিজেকে যেই কোন একটি নির্দিষ্ঠ রিসার্চ এরিয়া তে এক্সপারটিস তৈরি করুন। কিছু অনলাইন কোর্স করুন পড়াশুনার সিলেবাস এর বাইরে নিজেকে কিছু জিনিস এ এক্সপার্ট করে তুলুন।
গুরুত্বপুর্ন একটি তথ্য। দয়া করে আপনার এই যাত্রা শুরুর আগেই আপনার যাবতীয় যত সার্টিফিকেট, আইডেন্টিফিকেশন ডকুমেন্ট(পাসপোর্ট, এনআইডি) আছে সেগুলোতে আপনার নাম , ডেট অফ বার্থ, আপনার বাবা মার নাম, এই ইনফরমেশন গুলো সব সার্টিফিকেট এবং আইডেন্টিফিকেশন ডকুমেন্ট এ এক রকম আছে কিনা চেক করুন। যদি ঠিক না থাকে, এখনি ওগুলো ঠিক করার কাজে লেগে পরুন, এগুলোর কারণে পরে অনেক ঝামেলা পোহাতে হয়। আর বাংলাদেশে তো এগুলো ঠিক করা অনেক সময়ের ব্যাপার সেটা জানেন ই। তাই সময় থাকতে এরকম কোন কিছু থাকলে আগেই ঠিক করে ফেলুন।
1. কানাডায় পড়তে যাওয়ার সময় টা কখন?
কানাডা তে বছরে ৩ টি সেমিস্টার হয়ে থাকে। ফল(সেপ্টেম্বর), উইন্টার(জানুয়ারি), সামার(মে)। কিন্তু আপনি যদি স্কলারশিপ অথবা ফান্ডিং এর টার্গেট রাখেন তাহলে ফল সেমিস্টার টা আপনার টার্গেট করতে হবে। আপনি যদি ফল সেমিস্টার এ যেতে চান, মনে রাখবেন, আপনার প্রিপারেশন অন্তত ১ বছর আগ থেকে নিতে হবে। হ্যাঁ !! ১ বছর !! উচ্চশিক্ষার সম্পুর্ণ প্রসেস টা অনেক লম্বা। তার মানে হচ্ছে আপনি যদি ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে কানাডা পরতে যেতে চান তাহলে আপনার ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর থেকে প্রিপারাশেন নেয়া শুরু করতে হবে। আমি আপনাদের এই পুরো ১ বছরের টাইমলাইন সম্পর্কে ডিটেল এ বলব এবং এই টাইমলাইন এর ব্যপারে বলতে বলতেই আমি বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিয়ে যাবো।
প্রশ্নঃ তাহলে অন্য কোন সময়ে কি এপ্লাই করা যায় না ?
হ্যাঁ, ফল সেমিস্টার বাদে অন্যান্য সেমিস্টার এও আপনি যেতে পারেন, কিন্তু অন্যান্য সেমিস্টার এ ফান্ডিং এর পরিমাণ টা একটু কম থাকে, তাই ফল সেমিস্টার টাই সবচেয়ে ভালো।
2. স্কলারশিপ বা ফান্ডিং ব্যাপার টা আসলে কি?
মূলত কয়েকভাবে আপনি কানাডা তে স্কলারশিপ পেয়ে থাকতে পারেন। আমি মুল দুইটা আপনাকে তুলে ধরছি।
সেন্ট্রাল স্কলারশিপঃ সেন্ট্রাল স্কলারশিপ হচ্ছে যেই স্কলারশিপ গুলো সরাসরি ইউনিভার্সিটি অথবা অন্য কোন মাধ্যম থেকে সরাসরি পাওয়া হয়। এই স্কলারশিপ কে অন্যভাবে “গ্যারেন্টেড স্কলারশিপ” ও বলা হয়। এই স্কলারসিপ গুলো একটু কম্পিটিটিভ হয়ে থাকে। এগুলোর জন্য আলাদা ভাবে এপ্লাই করতে হবে। আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামগুলোর চেয়ে মাস্টার্স এবং পিএইচডি প্রোগ্রামের জন্যে ফান্ডিং, স্কলারশিপের সুবিধা বেশি। কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি ও কানাডিয়ান সরকার প্রতি বছর ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্টদের জন্য বিভিন্ন ধরনের স্কলারশিপ প্রদান করে থাকে। স্কলারশিপ আবেদনের সময়সূচি ও যোগ্যতাসমূহ জানতে আপনাকে তাদের ওয়েবসাইটসমূহ ভিজিট করতে হবে। কানাডায় পড়াশোনার জন্য বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা যেসব বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারেন:-
Banting Postdoctoral Fellowships
CIFAR Global Scholars
CIHR Fellowship
IDRC Doctoral Research Awards
IDRC Research Awards
Industrial Postgraduate Scholarships Program
Industrial Research and Development Internship (IRDI) Program
Research Associate Program
Sauvé Scholars Program
Strategic Training Initiative in Health Research (STIHR)
The Bentley Cropping Systems Fellowship
Trudeau Fellowships
Trudeau Scholarships
Vanier Canada Graduate Scholarships
Visiting Fellowships in Canadian Government Laboratories Program.
প্রফেসর ফান্ডিংঃ বাইরের দেশের শিক্ষক রা অনেক সংস্থা থেকে অনুদান পেয়ে থাকে রিসার্চ এর কাজ করার জন্য। তখন ঐ শিক্ষক রা কিছু স্টুডেন্ট দেরকে রিসার্চ এসিটেন্ট হিসেবে নেন এবং সেই স্টুডেন্ট কে টাকা প্রদান করে থাকেন। সেটার সাথে থাকে টিচিং এসিস্টেন্টশিপ ও। এখানে আপনার কোন একজন টিচার কে এসিস্ট করতে হয় যার সুবাদে আপনাকে টাকা দেয়া হবে। এই সোর্স গুলো থেকে আপনি যে টাকা গুলো পাবেন সেগুলো দিয়ে আপনি কানাডা তে থাকা খাওয়ার খরচ এবং টিউশন ফি দিতে হবে। সুতরাং ফান্ডিং জিনিস টা আসলে ফ্রি না, এখানেও আপনার কাজ করেই টাকা অর্জন করতে হবে। কিন্তু সেটা আপনার জন্য অন্যকোন কাজ করা থেকে সহজলভ্য এবং আপনি যদি রিসার্চ এ ভালো কাজ করেন, আরো অনেক এওয়ার্ড থাকে যেগুলোর জন্য আপনি এপ্লাই করে আলাদাভাবে টাকা পেতে পারবেন এওয়ার্ড হিসেবে।
কিভাবে এই স্কলারশিপ বা ফান্ডিং ব্যাবস্থা করতে হবে সে ব্যপারেই পোষ্ট এ আলোচনা করা হবে।
3. আমি কিভাবে শুরু করব?
প্রথম কাজঃ কানাডা অথবা যেকোন দেশেই উচ্চশিক্ষায় যাবার প্রথম যেই জিনিস টি দরকার হয় ইংরেজি ভাষার দক্ষতা। ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা প্রমাণ এর জন্য কয়েকটি পরীক্ষা আছে যেমন জিআরই, আইএলটিএস, টোফেল। কানাডায় জিআরই দেয়া টা বাধত্যামূলক না। আপনার আইএলটিএস অথবা টোফেল যেকোন একটা পরীক্ষা দিতে হবে। আইএলটিএস অথবা টোফেল এর প্রিপারেশন নেয়ার কিছু রিসোর্স আমি দিয়ে দিচ্ছি আপনাদের। মনে রাখতে হবে, এই দুটি পরীক্ষার যেকোন একটা আপনার দিতে হবে, দুইটিই না। যদি সম্ভব হয় প্রিপারেশন টাইমলাইন এর আগেই আপনার এই পরীক্ষা গুলো দিয়ে দিলে ভালো পরে দিলেও সমস্যা নেই। কিন্তু অক্টোবর এর আগে অবশ্যই দিয়ে দিবেন তাহলে আপনার জন্য কাজ অনেক সহজ হবে। কিভাবে প্রস্তুতি নিবেন সেই ব্যাপারে এখানে দেখতে পারেন। বাংলাদেশে আইএলটিএস করার সুযোগ আছে ব্রিটিশ কাউন্সিল ও আইডিপিতে।
প্রশ্নঃ আইএলটিএস এর স্কোর কত রাখা উচিত?
ভালো ইউনিভারসিটি গুলোতে এডমিশন পেতে চাইলে কমপক্ষে ৭.০ রাখা উচিত। সাথে অবশ্যই কোন ব্যান্ড এ ৬.৫ এর কম পাওয়া যাবে না। বিভিন্ন ইউনিভারসিটির বিভিন্ন ধরনের রিকুয়ারমেন্ট থাকে। ওয়েবসাইট এ গেলেই পেয়ে যাবেন।
প্রশ্নঃ "আমি আইইএলটিএস এ 5.5/6.0/6.5 পেয়েছি (অথবা আইইএলটিএস দেইই নাই), আমি কি কানাডায় ফুল স্কলারশীপ নিয়ে পড়তে পারব??!"
This portion has been written by Rakib Hussain, Master of Arts, Communications, Mount Saint Vincent University. Collected from PBSCU.
এডুকেশান এজেন্সিগুলা (পড়ুন দালাল) গুলা যতগুলা সর্বনাশ করসে তার মধ্যে সবচাইতে বড় সর্বনাশ, আমার মতে, হইল মানুষের মানসিকতার বারটা বাজানো। এদের প্রায় সব অ্যাডে থাকে "কানাডায়/আমেরিকায় স্কলারশিপসহ উচ্চশিক্ষা", আইইএলটিএস ছাড়া কানাডায় উচ্চশিক্ষা। আমার বিশ্বাস যারা উপরের প্রশ্নটা করে তারা এইসব দালালের অ্যাড দেখেই করে। ভাই, কে না চায় আরাম করে বসে বসে কানাডার মত দেশে একটা ১০০% স্কলারশিপ ম্যানেজ করে ফেলতে?! :P কিন্তু আগে বলেন তো, এতই সোজা?
অফেন্ড করার জন্যে বলতেসি না। এই ধরণের প্রশ্ন করার আগে নিজের পার্সোনাল অ্যাসেসমেন্ট একটু করেন। আপনি কি হয়ে গেসেন প্রিয় ভাই/বোন? আপনি লাইফে এমন কি করে উলটায়ে ফেলসেন যে একটা ইউনিভার্সিটি আপনার ৭০,০০০ ডলার এভারেজে টিউশান ফী মাফ করে দিবে? আপনার কি অ্যাচিভমেন্ট আছে একটা ইউনিভার্সিটি ডিগ্রী (মাস্টার্স এপ্লিক্যান্টদের জন্যে) আর গিপিএ পাইপ (ব্যাচেলর এপ্লিক্যান্টদের জন্যে) বাদে? আপনার আইএইএলটিএস এ নাই চোখে পড়ার মত স্কোর, আপনি জিআরই/জিম্যাট দিতে চান না কারণ অনেক কঠিন, আপনার নাই প্রফেশনাল এক্সপেরিয়েন্স, নাই রিলেভেন্ট এক্সট্রা কারিকুলার অ্যাকটিভিটিজ! আপনারে কি চেহারা দেখে স্কলারশিপ দিবে?
আমার এক জুনিয়র ইউএসএতে ফুল স্কলারশীপ নিয়ে পড়তে গেসে। এই ছেলে এমন প্রশ্ন করে নাই কোন গ্রুপে। সে গুগল করে করে দেখসে স্কলারশীপ যারা পায় তাদের এভারেজ প্রোফাইল। তারপরে নিজের প্রফাইল বিল্ড করসে। আইইএলটিএস এ হাই স্কোর তুলসে, স্যাট দিসে। পুরা কলেজ লাইফ জুড়ে একটার পরে একটা কম্পিটিশানে চ্যাম্পিয়ন হইসে। টিচারদের সাথে খাতির করে স্ট্রং রেকমেন্ডেশান পাইসে। প্রফাইল বিল্ড হবার পরে ইউনিভার্সিটিতে মেইল করসে, এপ্লাই করসে। তারপরে রেজাল্ট পাইসে। দুই/আড়াই বছরের টার্গেট রেখে ছেলেটা খাটসে। এই গ্রুপে অনেক সিনিয়র আছেন যারা ফুল ফান্ডিং এ মাস্টার্স করতে গেসেন। তাদের প্রফাইল দেখেন হল অফ ফেইমে। কোন না কোন একটা দিকে তারা সেই লেভেলের সাকসেসফুল। কেউ হয়ত জিআরই দেয় নাই, আইইএলটিএস এ সাড়ে ছয় কিন্তু তার রিসার্চ এক্সপেরিয়েন্স আউটস্ট্যান্ডিং। ইউনিভার্সিটি তারে ফুল ফান্ড দিয়ে নিয়ে গেছে জামাই আদর করে। এইগুলা হইসে ফলো করার জিনিস।
ভাই, কানাডার ইউনিভার্সিটি স্কলারশিপ কেন দিবে? তারা দিবে যদি মনে করে আপনি সেইটার যোগ্য। আপনি ফিউচারে পাশ করে ফাটায়ে ফেলবেন আর তাদের ইউনিভার্সিটির রেপুটেশান বাড়বে। আপনারে ফান্ডিং কেন দিবে? যদি মনে করে আপনি ইউনিভার্সিটিতে রিসার্চ করে ফাটায়ে দিবেন, যাতে করে ইউনিভার্সিটির রেপুটেশান বাড়বে। এছাড়া আর কোন কারণ নাই।
এইধরণের প্রশ্ন আমার কাছে বেশিরভাগ সময়ে আজাইরা লাগে। আমার বিশ্বাস বেশিরভাগ সিনিয়রের কাছেও বিরক্ত লাগে। তারা জাস্ট ইগনোর করে যায় কারণ তারা ব্যস্ত। কিন্তু আমরা ছোটখাট মানুষজন গ্রুপে মানুষকে হেল্প করার নিয়ত করে ঢুকে যদি দেখি পরপর তিন চারটা পোস্ট এইরকম উদ্ভট প্রশ্ন সহ যাদের প্রোফাইলে দেয়া আইআইটিতে অধ্যয়নরত, ওয়ার্ক্স এট ফেইসবুক অথবা বাপের হোটেলে খাই, তাইলে তো মেজাজ খারাপ হবারই কথা।
এখন হ্যাঁ, কেউ যদি বলে, "I got 7.5/+ in IELTS, above 85% in SAT, excellent ECA profile and other activities. Which university I should target to get partial/full scholarship in XXX subject?" তাইলে জিনিসটা ভ্যালিড। অথবা "Bachelor CGPA 3.xx, IELTS x.xx, research exp x years. I am interested in XXX subject. Do you think I can manage funding with this profile or I have to add more?" তাইলে এইটা একটা ভ্যালিড প্রশ্ন। সবাই লাফায়ে আসবে আনসার দিতে।
আপনার পকেটে টাকা আছে ২০,০০০। আপনি আইফোন এক্স কিনতে চান! এখন জিজ্ঞেস করতে পারেন যে আপনার ঠিক কত টাকা আরো লাগবে আইফোন এক্স কিনতে অথবা আইফোন এক্স বাদে অন্য কি কি ফোন আছে যেইটা এই টাকায় কেনা যায়? "আমার কাছে ২০,০০০ টাকা আছে, আমি কি আইফোন এক্স কিনতে পারব?"- প্রশ্নটা কেমন শোনায়?
পোস্টটা দেয়ার একটাই উদ্দেশ্য, স্কলারশিপ/ফান্ডিং এর ব্যাপারে যেই মিসকনসেপশান তৈরি হয়ে গেছে অলরেডি সেইটা ক্লিয়ার করা। "স্কলারশীপ/ফান্ডিং সহ উচ্চশিখ্যা, আপনি কোয়ালিফাইড হন বা না হন"- এইটাই দালালদের ট্র্যাপ। যেই জিনিস আপনি ডিসার্ভ করেন না, সেইটা যদি কেউ আপনারে একদম মুড়ির মত বিলায়ে দিতে আসে তাইলে সেইটা একটা ফাঁদ। আপনাকে তার জন্যে আগে জানতে হবে যে আপনি কোন লেভেলে আছেন। কানাডা/নর্থ আমেরিকা/ইয়োরোপ/অস্ট্রেলিয়াতে যাওয়া সবার স্বপ্ন। কিন্তু তারাই যায় যাদের বাপের একগাদা টাকা আছে অথবা তারাই যায় যারা লম্বা সময় ধরে ট্যাকটিকালি চিন্তা করে প্রিপারেশান নেয়।
একজন মানুষ দুই বছর ধরে প্রিপারেশান নিসে ফুল ফান্ডিং পাওয়ার আশায়, রাতের পর রাত জেগে পড়াশুনা করসে, কেউ কেউ চাকরি ছেড়ে পড়াশুনা করসে যেন প্রফেসর তার প্রফাইল দেখে ইমেইলের রিপ্লাই দিতে বাধ্য হয়। আর আপনি উইদাউট প্রিপারেশান এসে গরম ভাত খাইতে চাচ্ছেন, এই মাইন্ডসেট থেকে বাইর হন প্লীজ (কিছু ক্ষেত্রে আপনার প্যারেন্টদের ও বের করেন)। দালালরা ঠিক এই অ্যাকিলিস হিলেই হিট করে!!!
আপনার প্রিপারেশান স্টার্ট করতে পারেন গ্রুপ ফাইল সেকশান দিয়ে। একবার এইটা পড়লে আর এইধরণের প্রশ্ন করা লাগবে না। http://www.pbscu.ca
কেউ অফেন্ডেড হয়ে গেলে কিছু করার নাই। আপনার ভালর জন্যেই বলা! এইসব গাধাগরু মার্কা প্রশ্ন শুধু আপনার ক্ষতি করবে না, যেই ছেলে মেয়ে ইন্টার ফার্স্ট ইয়ারে কিন্তু এই গ্রুপের মেম্বার হয়ে ফিউচার প্ল্যানিং করতেসে, তার মাইন্ডসেটেই ইম্প্যাক্ট করবে। বুঝে শুনে প্রশ্ন করলে রাতের ২/৩টা বাজেও আনসার পাবেন :P প্রমিজ! বেস্ট অফ লাক ফর ইয়োর এক্সপ্লোরেশান!
দ্বিতীয় কাজঃ কানাডা তে স্কলারশিপ নিয়ে পরতে যাবার সবচাইতে সুবিধাজনক এবং প্রচলিত উপায় হচ্ছে প্রফেসর এর ফান্ডিং। আসলে কেন প্রফেসর আপনাকে ফান্ডিং দিবে? আর কিভাবেই বা ফান্ডিং এর জন্য আপনি এপ্লাই করবেন? এখানে আসছে সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ন ব্যপার। প্রফেসর খুঁজে বের করে তাদের কে এপ্রোচ করা ইমেইল এর মাধ্যমে। আপনাকে খুঁজে বের করতে হবে, কোন প্রফেসর দের কাজের সাথে আপনার রিসার্চ অথবা থিসিস এর কাজের মিল আছে? সুতরাং দ্বিতীয় কাজ হচ্ছে প্রফেসর খুঁজে বের করা। এটার পিছনে আপনার সময় দিতে হবে এবং একটু খাটা খাটনি করতে হবে। এখন কিভাবে তাহলে খুঁজে বের করবেন প্রফেসর দেরকে? এই কাজটার জন্য আপনার গুগল করা জানতে হবে ভালো করে। এই লম্বা প্রসেস এ গুগল আপনার অনেক বড় বন্ধু। প্রত্যেক বিশ্ববিদ্যালয় এর নিজের ওয়েবসাইট থাকে, ঐ ওয়েবসাইট এ প্রত্যেক ডিপার্টমেন্ট এর আলাদা সেকশন থাকে। আপনি যেই ডিপার্টমেন্ট এর সেই পেইজ এ গিয়ে দেখতে পাবেন প্রত্যেকজন টিচার এর আলাদা প্রোফাইল আছে। ঐ প্রোফাইল এ ঢুকে আপনি তার রিসার্চ ইন্টারসেস্ট দেখবেন এবং তার পাবলিকেশন গুলো দেখবেন। দেখে যদি মনে হয় তার সাথে আপনার কাজের মিল আছে, তাহলে তার প্রোফাইল এর লিঙ্ক এবং ইমেইল এড্রেস সহ আরও কিছু ইনফরমেশন একটা এক্সেল ফাইলে সেইভ করে ফেলবেন। আপনার অনেক সুবিধা হবে সেই ক্ষেত্রে পরবর্তিতে। আমি সুবিধার জন্য আমার তৈরি করা ফাইল টার একটা ছবি দিলাম। কতজন প্রফেসরের লিস্ট বানানো উচিত? এটার কোন সঠিক উত্তর নেই। অনেকে ২০ জনকে ইমেইল করেই পসিটিভ রীসপন্স পেয়ে যায় অনেকে ৪০০-৫০০ জনকে মেইল করেও ভালো রিস্পন্স পায় না। অনেকগুলো ব্যাপার এর উপর এই জিনিসটা নির্ভর করে। এগুলো নিয়েও সামনে কথা কথা বলব। প্রফেসর সিলেকশন এর ব্যাপারে আরো কিছু গাইডলাইন এর জন্য এখানে ক্লিক করুন।
তৃতীয় কাজঃ আপনাকে দুইটা ডকুমেন্ট বানাতে হবে। একটা হচ্ছে আপনার একটা রিসেন্ট সিভি, আরেকটা হচ্ছে স্টেইট্মেন্ট অফ পারপাস। খুবি খুবি গুরুতপুর্ন দুইটা জিনিস।
রিসেন্ট সিভিঃ আপনার নিজের একটা সিভি অথবা রেজমে বানাতে হবে। এটা বানানোর ক্ষেত্রে মনে রাখবেন খুব রংচটা লে আউট ব্যাবহার না করাটাই ভালো। যতটুকু সম্ভব সিম্পল রাখাটাই ভালো। আমি উদাহারনসরুপ কিছু সিভি দিয়ে দিবো আপনাদের জেনো বুঝতে সুবিধা হয়। সবসময় চেষ্ঠা করবেন সিভি ২ পৃষ্ঠার ভিতর শেষ করতে। সিভি তে কোন কোন জিনিস রাখা ভালো সেই গুলো পয়েন্ট এ বলে দিচ্ছি
Employment Experience: আপনি যেখানে চাকরি করছেন এবং এর আগে যে কয় যায়গায় চাকরি করেছেন সেগুলোর ব্যপারে লিখবেন এই সেকশন এ। যদি আপনি চাকরি না করে থাকেন এই সেকশন এর দরকার নেই। বর্তমান টা সবার উপরে রাখবেন
Educational Experience: রেজাল্ট সহ আপনার সকল Educational * Experience এর কোথা লিখে দিবেন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এর নাম এবং সময়কাল টাও লিখে দিবেন
Publications: আপনার যদি কোন রিসার্চ পেপার থেকে সেগুলো টাইটেল সহ সবকিছু লিখে দিবেন
Skills আপনার যাবতীয় স্কিল এর ব্যাপারে এই সেকশন এ লিখবেন।
Achievement and Certifications: আপনার সকল অর্জন এর ব্যাপারে এখানে লিখবেন। এখানে খুব অপ্রাসঙ্গিক কিছু না লিখাই ভালো। যেমন স্কুল এ থাকতে দৌড় প্রতিযোগিতায় প্রথম, এমন আর কি। অনলাইন কোন কোর্স যদি করে থাকেন সেগুলো ও এখানে দিতে পারবেন।
References: ২-৩ জন রেফারির নামে অবশ্যই দিতে হবে। এটার ব্যাপারে অনেকেই একটু কনফিউসড থাকেন, কাকে দিবেন না দিবেন। আমার সিলেকশন টা কিছুটা এমন। যদি আপনি চাকরিজীবী হয়ে থাকেন তাহলে ১ জন রেফারি দিবেন আপনি যার সুপারভিশন এ কাজ করছেন টাকে আর আরেকজন হয়ত আপনি যেখান থেকে আপনার অনার্স শেষ করেছেন সেই ডিপার্টমেন্ট এর হেড। আপনি যদি থিসিস করে থাকেন তাহলে আপনার থিসিস সুপারভাইসর এর নাম ও দিতে পারেন। এমন মানুষকেই দিবেন যে আপনার ব্যপারে আরেকজনকে বলতে পারবেন।
সিভি লিখা সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন।
স্টেইট্মেন্ট অফ পারপাসঃ মনে রাখবেন, আপনার এডমিশন এর ক্ষেত্রে অন্যতম গুরুতপুর্ন ভূমিকা পালন করবে এই স্টেইট্মেন্ট অফ পারপাস। স্টেইট্মেন্ট অফ পারপাস কিভাবে লিখতে হবে এই ব্যাপারে বিস্তারিত এখানে পাবেন। ভুলেও কখনো অন্য কারও এসওপি কপি পেস্ট করতে যাবেন না। সেটা আপনার এডমিসন চান্স কে আরো কমিয়ে দিবে। স্যাম্পল গুলো থেকে আইডিয়া নিন। কিন্তু কপি পেস্ট করবেন না। এসওপি হবে আপনার সম্পুর্ন নিজস্ব একটি গল্প, যার সাথে অন্য কারোর মিল থাকবে না।
বি.দ্রঃ আপনার যদি পাসপোর্ট করা না থাকে, এখনি এপ্লাই করে ফেলেন, কারণ এটা আপনার দরকার হবে।
4. প্রফেসর শর্টলিস্ট করার কাজ শেষ, এখন কি করব?
এখন হচ্ছে আপনার সবচাইতে গুরুতপুর্ন পদক্ষেপ। প্রফেসর দের কে ইমেইল করা। ইমেইল করার সময় অনেকগুলো বিষয় মাথায় রাখতে হবে। আমি সেই ব্যাপার গুলো একটা একটা করে পয়েন্ট আকারে লিখে দিচ্ছি।
প্রথমে আপনার একটি মেইল ড্রাফট তৈরি করতে হবে। কিছু স্যাম্পল ইমেল এর ড্রাফট আমি দিয়ে দিয়ছই পোস্ট এর শেষে। ইমেইল এ বিশাল রচনা লিখতে যাবেন না ভুলেও, তাহলে রিপ্লাই পাবার আশা আগে থেকেই ছেড়ে দিন। ইমেইল এ কোন কোন জিনিস লিখা উচিত তা আমি নিচে বলছি।
ইমেইল এ কি কি থাকবে?
আপনার নাম, কোথা থেকে পড়াশুনা করেছেন, আপনার রেজাল্ট , বর্তমানে কি করছেন
আপনার রিসার্চ ব্যাকগ্রাউন্ড, থিসিস কি নিয়ে করেছিলেন সেই টপিক টা মেনশন করে দিয়েন
আপনার পাবলিকেশন সংখ্যা (যদি থেকে থাকে) এবং গুগল স্কলার সাইটেশন নাম্বার টাও মেনশন করে দিয়েন
কেন আপনি এই প্রফেসর কে ইমাইল করছেন? তার কাজের সাথে আপনার কাজ কিভাবে মিল হয়? মনে রাখবেন, ইমেইল করার আগে অবশ্যই প্রফেসর এর প্রোফাইল ঘেঁটে দেখবেন, তার কিছু পেপার এর এবস্ট্রাক্ট পরে দেখবেন ।সম্ভব হলে সেই প্রফেসর এর একটি পেপার সম্পর্কে লিখবেন জেনো সে বুঝতে পারে যে আপনি তার প্রোফাইল ঘাটাঘাটি করে তারপর ইমেইল দিয়েছেন।
যদি প্রফেসর এর প্রোফাইল এ দেখেন যে লিখা আছে যে এখন আর স্টুডেন্ট নিচ্ছেন না তাহলে খালি খালি তাকে ইমেইল করে কোন লাভ নেই.
কখন ইমেইল পাঠাবেন?
মোটামুটি সেপ্টেম্বর থেকেই প্রফেসরদের ইমেইল করা উচিত.
একটি খুব গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার, এক ই ইউনিভারর্সিটির একই ল্যাবের দুইজন প্রফেসর কে একই দিনে ইমেইল করবেন না. অন্তত ২-৩ দিন পর পর ইমেইল দিবেন।
কানাডার সাথে বাংলাদেশের সময়ের পার্থক্য ১২ ঘন্টা। মেইল করার সময় তা গুরুত্বপূর্ণ। চেষ্টা করবেন ইমেইল গুলো কানাডা সময় সকাল ৯ টা থেকে ১২ টার ভিতর পাঠানোর। এই সময় প্রফেসর রা অফিস এ থাকে এবং আপনার মেইল তখন সাথে সাথে দেখার একটা সুযোগ থাকে। আপনি চিন্তা করুন, আপনাকে যদি কেউ রাতে ১২ টায় ইমেইল পাঠায় সেটা আপনি সহজে দেখতে চাবেন না। সকাল হতে হতে আপনার মতন আরো অনেকেই তাকে মেইল দিবে এবং আপনার ইমেইল টা নিচে চলে যাবে।
কানাডাতে সরকারি ছুটি শনি এবং রবিবার, তাই এই দুই দিন আপনি প্রফেসরদের থেকে রিপ্লাই পাবেন না. তাই এই দুই দিন ইমেইল না করে ভালো
রিমাইন্ডার ইমেইল:
প্রফেসর থেকে রিপ্লাই না পেলে আপনি ৪-৫ দিন পর একটি রিমাইন্ডার ইমেইল দিবেন। আমি একটা রিমাইন্ডার ইমেইল এর স্যাম্পল ও দিয়ে দিয়েছি।
আরো কিছু গাইডলাইন পেতে এই লিঙ্ক দুইটি তে একটু ঢু মেরে আসুন।
5. প্রফেসরদের রিপ্লাই:
প্রফেসরদের রিপ্লাই পাওয়া টা খুব সহজ একটা ব্যাপার না। প্রফেসরদের ইমেইল কে আমি মোটামুটি 4 ভাগে ভাগ করে নিতে পারা যায়। আমি 4 ধরনের রিপ্লাই এর ব্যাপার এই এখানে লিখছি
Thank you for your email but currently I do not have any opening position: এই ইমেইল টা দেখেই বোঝা যায় যে প্রফেসর এর ল্যাব এ এই মুহুর্তে যায়গা খালি নেই, এখানে আসলে কিছু করার নাই।
Thank you for your email. The admission is done centrally: এই ইমেইল টা আসলে অনেক বেশি পাওয়া যায়, এই ইমেইল টা আসলে অনেকটা প্রথমটার মতন ই, প্রফেসর খুব বেশি ইন্টারেস্টেড না আপনার প্রতি।
Thank you for your email. I would encourage you to apply and put my name as your potential supervisor: এটা একটা পসিটিভ রিপ্লাই, এখানে প্রফেসর আপনার ব্যাপারে ইন্টারেস্টেড কিন্তু হয়ত উনার কাছে অনেক বেশি স্টুডেন্ট মেইল করেছে এবং যাদেরকে উনার পছন্দ হয়েছে তাদেরকে উনি এই ইমেইল টা দিচ্ছেন। এটা অনেকটা ৫০-৫০ ব্যাপার। অবশ্যই এপ্লাই করবেন সেখানে, ব্যাপার টা অনেকটাই এখন আপনার ভাগয়ের উপর
Thank you for your email. Your profile fits in my lab we can have a meeting: এটা হচ্ছে সবচাইতে পসিটিভ রিপ্লাই। এই রকম ইমেইল পাওয়ার মানে হচ্ছে প্রফেসর আপনার ব্যাপারে খুবি ইন্টারেস্টেড এবং আপনার সাথে মিটিং এ আপনার ব্যাপারে আরও ডিটেইল এ যানতে চাচ্ছেন। প্রফেসরদের মিটিং এর ব্যাপারে কিভাবে নিজেকে প্রস্তুত করা যায় এটা নিয়ে পরের সেকশন এ বলব।
প্রশ্নঃ আমি তো প্রফেসর দের কোন রিপ্লাই পাচ্ছি না, আমি কোথায় ভুল করছি?
এটা আশায় রাখবেন না কখনোই যে যাদের ইমেইল করছেন সবার থেকে আপনি রিপ্লাই পাবেন। প্রফেসর দের থেকে রিপ্লাই পাওয়া টা খুব কষ্টসাধ্য। মাঝে মাঝে দেখা যাবে যে আপনি ১-২শ প্রফেসরদেরকে ইমেইল করেও কোন রিপ্লাই পাচ্ছেন না, অনেক ধরনের ভুল আপনি করে থাকতে পারেন। আপনি এই লিঙ্ক থেকে কিছু সাজেশন নিতে পারেন।
6. প্রফেসরদের সাথে মিটিং এ কিভাবে নিজেকে প্রস্তুত করবঃ
যদি প্রফেসরদের থেকে পসিটিভ রিপ্লাই পেয়ে যান তাহলে হয়ত আপনাকে একটি অনলাইন মিটিং এর জন্য ডাকা হবে। সেখানে প্রফেসর আপনার ব্যপারে আরও বিস্তারিত জানতে চাবে। এই মিটিং এর ব্যাপারে কিছু টিপস
প্রথমেই একটি ভালো মাইক এর ব্যাবস্থা করবেন, যেটাতে কথা খুব ক্লিয়ার ভাবে শুনতে পাবেন এবং বলতে পারবেন
এমন একটি যায়গায় মিটিং টা করার চেষ্ঠা করবেন যেখানে কোলাহল কম
একটু ভালো পোশাক পরে মিটিং এ এটেন্ড করলে ভালো, কিছু কিছু প্রফেসর ভিডিও ইন্টারভিও নিতে পছন্দ করে
অবশ্যই মিটিং এর পুর্বে প্রফেসর সম্পর্কে ঘাটাঘাটি করে যাবেন। কারণ একটা গুরুতপুর্ন প্রশ্ন যেটা হয়ত আপনাকে জিজ্ঞেস করা হবে সেটি হচ্ছে কেন আপনি উনার সাথে কাজ করার ব্যাপারে ইচ্ছা পোষণ করছেন। এই প্রশ্নের উত্তর এর উপর অনেক কিছু ডিপেন্ড করে। প্রফেসর বর্তমানে কি নিয়ে কাজ করছেন সেই সম্পর্কে ঘাঁটবেন সাথে তার খুব রিসেন্ট কোন একটা রিসার্চ পেপার পরে বুঝে নিয়েন।
পুরোটা সময় নিজেকে কনফিডেন্ট রাখার চেষ্টা করবেন
কোন কিছু “বাড়িয়ে” বলবেন না। সব কিছু সত্য বলবেন।
ইন্টার্ভিউয়ের ব্যাপারে আরো বিস্তারিত জানতে এই লিঙ্ক এ ক্লিক করুন।
7. এখন এপ্লাই করা শুরুঃ
এখন আপনি যেই যেই প্রফেসর থেকে ভালো রিপ্লাই পেয়েছেন সেই যায়গাগুলোতে এপ্লাই করার পালা। এপ্লাই করার আগে ক্রেডিট কার্ড এর ব্যাবস্থা করে রাখবেন। সব যায়গাতে এপ্লাই করতেই আপনার একটি এপ্লিকেশন ফি দিতে হবে। একটা ছোট ইনফরমেশন দিয়ে রাখি। কিছু কিছু ইউনিভার্সিটি থার্ড ওয়ার্ল্ড দেশ গুলোর জন্য এপ্লিকেশন ফি ওয়েভ করে দেয়। যেমনঃঃ ইউনিভার্সিটি অফ ব্রিটিশ কলাম্বিয়া, ইউনিভার্সিটি অফ এলবার্টা। এখন এপ্লিকেশন শুরু করার আগে কি কি দরকার হবে।
স্টেইট্মেন্ট অফ পারপাসঃ এটার সম্পর্কে তো আপনাকে আগেই বলেছি, প্রত্যেক যায়গা তে এপ্লাই করার সময় এই জিনিস টি সাথে সাবমিট করতে হবে। অবশ্যই এসওপি ইউনিভার্সিটি এবং ডিপার্টমেণ্ট এর নাম পরিবর্তন করে নিবেন। আমার পরিচিত একজন এক ইউনিভার্সিটি থেকে রিজেকশন পেয়েছিলো শুধু মাত্র এই ভুলটির জন্য।
রিকমেন্ডেশন লেটারঃ আপনার এপ্লিকেশন এ যেই জিনিসটা অন্যতম গুরুত্বপুর্ন ভূমিকা পালন করবে সেটি হচ্ছে রিকমেন্ডেশন লেটার। এটি হচ্ছে মূলত একটি লেটার যেটাতে আপনার শিক্ষক, আপনার সুপারভাইজর বা অন্য কেউ আপনার ব্যাপারে যাবতীয় বিষয় তুলে ধরবে। আমি অনেককে দেখেছি যে ইন্টারনেট থেকে কপি করে রিকমেন্ডেশন লেটার দিয়ে দেয়। এটা আপনার জন্য খুব খারাপ কিছু নিয়ে আসতে পারে। রিকমন্ডেশন লেটার টা আপনার ব্যাপারে স্পেসিফিক হতে হবে। আপনার কাজ, আপনার সম্পর্কে সবকিছু লিখা থাকতে হবে। সাধারণত দুই-তিনজন এর রিকমন্ডেশন লেটার দরকার হয়। মনে রাখবেন, এপ্লিকেশন এর সময় আপনাকে শুধু রেফারির পরিচয় চাওয়া হবে এবং পরবর্তিতে তার কাছে একটি ইমেইল চলে যাবে লেটার সাবমিট করার জন্য। সুতরাং ব্যাপার টা এমন না যে একটা লেটার রেফারির থেকে নিয়ে আসলেন, সেটাই সাবমিট করবেন সবসময়। যতগুলো ইউনিভার্সিটি তে এপ্লাই করবেন, আপনার রেফারির প্রত্যেকবার সেই ইউনভারসিটির দেয়া নিয়ম অনুযায়ী অনলাইনে রিকমেন্ডেশন লেটার সাবমিট করতে হবে। আপনার রেফারি কে এই ব্যাপারে আগেই একটু অবগত করে রাখবেন। তাহলে এখন কোথা হচ্ছে কার থেকে রিকমন্ডেশন লেটার নেয়া উচিত?
৩ জন রেফারির ক্ষেত্রে সবচেয়ে আদর্শ আমার মনে হয়
আপনার থিসিস সুপারভাইজর
আপনার একজন কোর্স টিচার/হেড অফ দা ডিপার্টমেন্ট
আপনি যদি কোথাও চাকরিরত থাকেন আপনি যার আন্ডারে কাজ করছেন তিনি
২ জন রেফারির ক্ষেত্রেঃ
আপনার থিসিস সুপারভাইজর
এমন একজন যে আপনাকে খুব সময় নিয়ে দেখেছে, আপনার সম্পর্কে খুব ভালো বলতে পারবে
সার্টিফিকেটঃ আপনার সকল ধরনের সার্টিফিকেট এবং ডকুমেন্ট এর সফট কপি।
এসএসসি, এইচএসসি, অনার্স/ব্যাচেলর, মাস্টার্স এর সার্টিফিকেট এবং ট্রান্সক্রিপ্ট (এটেস্টেড না হলে সমস্যা নেই)
আইএলটিএস এর সার্টিফিকেট
পাসপোর্ট
বার্থ সার্টিফিকেট/ এনআইডি
ব্যাস এইগুলো হয়ে গেলে আপনি এখন এপ্লিকেশন এর জন্য রেডি। এপ্লাই করে ফেলেন। অবশ্যই ডেডলাইন এর ব্যাপারে লক্ষ্য রাখবেন, কারণ এক এক ইউনিভার্সিটির ডেডলাইন এক এক সময় হয়। এপ্লিকেশন এর ট্রাক রাখার জন্য এমন একটা ডকুমেন্ট রেডি করে ফেললে সবচেয়ে ভালো
8. অপেক্ষার পালাঃ
এপ্লাই শেষ হয়ে গেলে এখন শুধু অপেক্ষার পালা। আস্তে আস্তে এক এক ইউনিভার্সিটি থেকে রেজাল্ট দিবে। ফল সেমিস্টার এর জন্য মোটামুটি মার্চ থেকে বিভিন্ন ইউনিভার্সিটির রেজাল্ট আসা শুরু করে। কোন ইউনিভার্সিটিতে আপনি এখন যাবেন এটা এখন আপনার সিদ্ধান্ত। কিন্তু আমি আমার নিজের দিক থেকে যদি একটা সাজেশন দিতে চাই সেটি হচ্ছে, শুধুমাত্র ইউনিভার্সিটির কিং এর দিকে লক্ষ করে ইউনিভার্সিটি নির্বাচন করবেন না। আরো অনেক গুলো ব্যাপার কে একটু মাথায় রেখে নিবেন। যেমন, আপনার সুপারভাইজর কেমন, সেই সুপারভাইজর এর আন্ডারে যারা কাজ করে গিয়েছে তাদের থেকে যদি সম্ভব হয় একটু আইডিয়া নিন। কারন সুপারভাইজর অনেক বড় একটা ব্যাপার।
9. ভিসা এপ্লিকেশনঃ
আশা করি এই স্টেপ এ আশার মানে হচ্ছে আপনি কোন ইউনিভার্সিটি তে সুযোগ পেয়ে গেছেন। এখন হচ্ছে আপনার স্টাডি পারমিট এর এপ্লিকেশন এর পালা। এই ভিসা এপ্লিকেশন এর ব্যাপারে সবাই সবচাইতে বেশি কনফিউজড থাকে। আপনার যেই কোন কনফিউশন গ্রূপে আপনি পোস্ট করতে পারেন। স্টাডি পারমিট এ এপ্লাই করার জন্য খুব সুন্দর কিছু ডকুমেন্ট তৈরি করা আছে। এগুলোর থেকে ভালো গাইডলাইন আর কিছু নেই। এই লিঙ্ক এ ক্লিক করে স্টাডি পারমিট এর ব্যাপারে যাবতীয় ইনফরমেশন আপনি পাবেন। অনেক ধরনের কনফিউসন থাকবে আপনাদের ভিসা এপ্লিকেশন এর সময়। অবশ্যই PBSCU গ্রূপে আপনাদের কনফিউশন গুলো পোস্ট করতে পারেন।
আশা করি এই পোস্ট টি আপনাদের কিছুটা হলেও সাহাজ্য করবে সম্পুর্ন প্রসেস টা বুঝতে। তারপরো যদি আপনার কোন ধরনের প্রশ্ন থাকে আমাকে যে কোন মুহুর্তে ইমেইল করতে পারেন অথবা PBSCU গ্রূপে পোস্ট করতে পারেন। অনেক গুলো ডকুমেন্ট এর কথাই এখানে বলেছি আমি। আপনাদের সুবিদার্থে আমি কিছু স্যাম্পল ডকুমেন্ট এর লিঙ্ক দিয়ে দিছি। কিন্তু আপনাদের ভালোর জন্য বলছি, দয়া করে হুবুহু এই স্যাম্পল গুলো কপি পেস্ট করবেন না, নতুবা আপনি আপনার নিজের ক্ষতি নিজেই ডেকে আনবেন। তাই সাবধান, এই স্যাম্পল ডকুমেন্ট গুলো সুধুমাত্র আপনাদের আইডিয়া দেয়ার জন্য। এই লিঙ্ক এ করে আপনারা স্যাম্পল ডকুমেন্ট গুলো দেখে নিতে পারেন।
আশা করি আপনারা সবাই আপনাদের স্বপ্নের কাছাকাছি পৌছে যেতে পারবেন একদিন।