Finding a Research Topic:
Social Science/Business

This document is originally written by Rakib Hussain, MA in Communications (Mount Saint Vincent University).


Year of Publication: 2018


©PBSCU Any unauthorized use of this article, including copying or editing is prohibited. If you want to use the article, you need to take permission from us: pbscuadm@gmail.com or from the author and you must mention the author's name and the group's name in all cases.


ইউনিভার্সিটিতে ফান্ডেড অ্যাডমিশানের জন্যে সবচাইতে পপুলার যেই মেথড, সেইটা হল প্রফেসরকে ইমেইল করা। ইমেইল করার উদ্দেশ্য হল প্রফেসরের কাছে ফান্ড আছে কিনা অথবা আপনি কোন স্কলারশিপের জন্যে উপযুক্ত কিনা তা জানা।


এইখানে ইমেইল করা বলতে প্রফেসরকে "স্যার, আমি কানাডা যেতে চাই। ওরা বলেছে আপনাকে ইমেইল করতে, কিভাবে কি করব পুরো প্রসেসটা যদি একটু বলতেন" এইটা মীন করা হয় নাই!  ইমেইল করা মানে হচ্ছে প্রফেসরকে জানানো যে আপনি তার যেই স্টাডি ফিল্ড, সেইখানে ইন্টারেস্টেড, আপনার কোয়ালিফিকেশান এই এই, রিসার্চ এক্সপেরিয়েন্স এই এই এবং আপনি তার সাথে কাজ করতে হাইলি ইন্টারেস্টেড। যদি ব্যাটে বলে লেগে যায়, মানে প্রফেসরের কাছে ফান্ড থাকে আর আপনাকে তার ভাল লাগে তাইলে মনে করেন কাজ অনেকটা হয়ে গেছে।



এখন যতবারই বলা হয় রিসার্চ ইন্টারেস্টের কথা, একটা কমন প্রশ্ন গ্রুপে প্রায়ই চলে আসে, "কিভাবে কি রিসার্চ করব?" এইসব প্রশ্ন শুনলে প্রথমেই মাথাটা গরম হয়ে যায়! কারণ আসলে এই প্রশ্নের উত্তর দেয়া মোটেও সোজা না। বয়েস একটু বাড়ার পরে বুঝলাম এইটা মানুষজনের দোষ না, আমাদের এডুকেশান সিস্টেম পড়াশুনা জিনিসটাকে একটা ম্যাজিকের মত বানায়ে রেখে দিসে। ছুমন্তর করলেই সব ম্যাজিকের মত আবিষ্কার হয়ে যায়, যেমন বলা হয় নিউটনের মাথায় আপেল পড়সে দেখেই মাধ্যাকর্ষণ সূত্র আসছে, যেন তার আগের এক্সপেরিমেন্ট,চিন্তাভাবনার কোন অবদানই নাই! ঘটনা কিন্তু মোটেও এমন না।


আমি জাস্ট একটা রেথ্যোরিকাল এক্সাম্পল দেই রিসার্চ জিনিসটা কি। ধরেন প্রাচীনকালে গুটেনবার্গ ছাপাখানা আবিষ্কার করলেন যেইটাতে মেটাল অক্ষর বসায়ে তার উপর কালি দিয়ে তার উপরে পেপার বসায়ে চাপ দিলে প্রিন্ট হত। এখন কেউ একজন চিন্তা করলেন এমন একটা প্রযুক্তি দরকার যেইটা দিয়ে ছবিও ছাপা যাবে অক্ষর বাদেও। সো এইটা নিয়ে রিসার্চ শুরু হল। এরপরে কেউ একজন ধরে বসল, কেন কালার হবে না? কালার ও করি! এরপরে আরেকজন ধরে বসল এইভাবে হাতে করে কাগজ দিতে সমস্যা, এক কাজ করি দেখি এইটা অটোমেটেড করা যায় কিনা। পাশ দিয়ে আরেকজন ভেবে বসল একবারে অটোমেটেড প্রযুক্তিটা কি একটু ট্যুইস্ট করে অনেকগুলা প্রিন্ট একসাথে করা যায় না? টাইম বাঁচবে। এইভাবে একটু একটু করে প্রযুক্তি/চিন্তা/থিওরী ডেভেলপড হয়ে হয়ে সেই হাতে চালানো ছাপাখানা থেকে আজকে আমরা স্ক্যানার থেকে শুরু করে অনেক কিছু ব্যবহার করতে পারি। এইগুলা এমনি এমনই আসে নাই। ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জিনিস নিয়ে রিসার্চ করা হইসে আর ডেভেলপ করা হইসে। ফটোকপিয়ারে বাটন থেকে স্মার্ট ডিসপ্লে আসা সবই অনেকগুলা ফিল্ডে রিসার্চের কাজ। একটা জিনিস ইম্পরুভ করা, একটা থিওরীর ফল্ট ধরে সেইটা ফিলআপ করা, প্রশ্নফাঁস কেন হইতেসে এইটার সোশ্যাল রিজন বের করা, মানুষের গায়ে ব্যাঙ এর ডিএনএ ঢুকায়ে দিলে লং জাম্পে অলিম্পিকে মেডেল পাবে কিনা এইসবই রিসার্চ!


আশা করা যায় বেসিক একটা আইডিয়া দিতে পারসি রিসার্চের উপরে। আমি যেহেতু সায়েন্সের না, বিজনেস, সোশ্যিওলজি আর কমিউনিকেশানের ব্লেন্ডে স্টাডি করি, তাই এইখানে এই রিলেটেড এক্সামপল দেই, কিভাবে কি রিসার্চ করা যায়।


প্রথমে আসি রিসার্চ টপিক কি এবং কিভাবে সিলেক্ট করব?

দুনিয়াতে স্টাডি করা যায় না এমন কিছুই নাই। আমরা ব্যাচেলর স্টাডিজে, কিছু ডেফিনিশান আর অ্যাপ্লিকেশান শিখি, স্বভাবতই কেউ এক্সপেক্ট করে না ডীপে যাওয়ার। কিন্তু যারা ফিউচারে মাস্টার্স করতে চায় তাকে একটা স্পেসিফিক সাবজেক্টে আইডিয়া নেয়া লাগে। যেমন বিবিএতে আপনি মার্কেটিং পড়সেন, ভালও লাগসে। এইবার দেখেন মার্কেটিং এর ঠিক কোন জিনিসটা আপনার ভাল লাগে? ধরেন মার্কেটিং কমিউনিকেশান ভাল্লাগে। এখন এই বইয়ে তো অনেক চ্যাপ্টার আছে, কোনটা পড়ে মনে হইসে "জোস একটা জিনিস"? ধরি অ্যাডভার্টাইজিং পার্টটা আপনার ভাল লাগসে। এইবার চিন্তা করেন কি টাইপ অ্যাড ভাল্লাগে আপনার? চিন্তা করে রিয়েলাইজ করলেন আপনার প্রিন্ট অ্যাড (ম্যাগাজিন, পেপারে ছাপা হয় যেইগুলা) ভাল্লাগে। এখন প্রিন্ট অ্যাড নিয়েও তো অনেক স্টাডি করা যায়, আপনার কাছে অ্যাকচুয়ালি প্রিন্ট অ্যাডের কোন জিনিসটা টানে? গুগল সার্চ করা শুরু করলেন, অনেক গুলা প্রিন্ট অ্যাড দেখলেন। ইমোশনাল অ্যাড, মেটাফোরিক অ্যাড, পানস, হিউমার এইসব নিয়ে বানানো অনেকগুলা দেখে বুঝলেন যে আপনার হিউমারাস প্রিন্ট অ্যাডগুলা ভাল্লাগে। এইটাও বুঝলেন যে আপনি রিয়েলি রিয়েলি কিউরিয়াস জানতে যে এইযে হিউমার প্রিন্ট অ্যাডে কেমনে কাজ করে। আপনি নিজেরে প্রশ্ন করা শুরু করলেনঃ


"হিউমার জিনিসটা কি?"

"প্রিন্ট অ্যাডে এইযে ছবি আর আরো কনটেন্ট ইউজ করে জিনিসটা যে বানাইলো, এইটা কি আসলেই হাসির কিছু হইসে?"

"হাসির জিনিস তো হইল, কিন্তু এইটা দেখে কি মানুষ কিছু বুঝবে আমি কি বলতে চাইসি?"

"একটু বেশি ইয়ে হয়ে গেলে মানুষ অফেন্ডড হবে না তো?"


কনগ্রাচুলেশান্স, আপনি প্রশ্ন করা শিখে গেছেন প্লাস আপনি আপনার রিসার্চ টপিক খুঁজে পাইসেন! এইবার এইটা নিয়ে একটা ব্যাকগ্রাউন্ড স্টাডি করেন! ব্যাকগ্রাউন্ড স্টাডির জন্যে দরকার প্রচুর ডকুমেন্ট, ঐ টপিকের উপরে। ডকুমেন্ট বলতে গুগল অথবা ইউটিউব ভিডিও না। পাবলিশড জার্নাল, আরো ভাল করে বলতে গেলে পিয়ার রিভিউড জার্নালে পাবলিশড হওয়া আর্টিকেল। আমার কাছে সবচাইতে এপিক লাগসে scholar.google.com টা। কারণ এইখানে আপনি আপনার সিলেক্টেড টপিক নিয়ে সার্চ করলে অনেক রিসার্চ পেপার, আর্টিকেল পাবেন টপিকের উপরে। অনেক জিনিস ফ্রীতেই দেয়া থাকে, আবার অনেক জিনিস কিনতে হয়। টাকা খরচ করার দরকার নাই, পিডিএফ ফাইল থাকলে ঐটা ডাউনলোড করেন। যেমন এইটা আমার ফেভারিট একটা আর্টিকেল অ্যাডভার্টাইজিং এ হিউমারে ব্যবহার নিয়েঃ http://journals.sagepub.com/doi/pdf/10.1177/0276146705274965




এইবারে আপনার রিসার্চ টপিক বাছাইয়ের কাজ শুরু। পড়তে থাকেন একটার পরে একটা, রিসার্চ মেথড গুলা দেখেন, লিটারেচার পড়েন। ইন্টারনেটে যেমন একটা কচুরমাথা ব্লগ পড়তে গিয়ে লিঙ্কে ক্লিক করে আরেক ব্লগে গিয়ে, সেইখান থেকে আরেক ব্লগে চলে যান; এইখানে ঠিক এইভাবে একটা আর্টিকেল থেকে আরেকটাই যাইতে থাকেন। এক সপ্তাহ টানা পড়েন খালি, কোন উদ্দেশ্য ছাড়াই। দেখবেন আইডিয়া জন্মাবে, আপনি ধারণা করতে পারবেন রিসার্চে কি কি করা হইসে, কোন কোন মেথড দিয়ে কি করা হইসে। সবচাইতে বড় কথা, যেই জিনিস প্রফেসররা খুঁজে সেইটা হইসে আপনি এইযে রিসার্চের গ্যাপগুলা এইগুলাতে কেমনে কন্ট্রিবিউট করতে পারবেন? এইগুলা নোট করা শুরু করেন। দরকার হলে গ্রুপে হেল্প চান, কোন না কোন সিনিয়র ডেফিনিটলি হেল্প করবেন।


একটা মাস্ট রীড রিসার্চ টেক্সটের লিঙ্ক দিয়ে দেইঃ

https://ucalgary.ca/…/2003_creswell_a-framework-for-design.…



স্টাডি করতে করতে একপর্যায়ে দেখবেন আপনার একটা টপিক দাঁড়ায়ে গেছে। ফর এক্সামপলঃ "আপনি বাংলাদেশী রেস্টুরেণ্টের প্রিন্ট অ্যাডভার্টাইজমেন্টে হিউমারের ব্যবহার নিয়ে স্টাডি করতে চান"।


আবার কনগ্রাচুলেশান্স! আপনি আপনার পটেনশিয়াল রিসার্চ টপিক পেয়ে গেছেন। এইবার ইউনিভার্সিটি বাছাইয়ের পালা! আপনার সাবজেক্ট কি? অ্যাডভার্টাইজিং। এই রিলেটেড কোর্সগুলা কি কি? ডেফিনিটলি মার্কেটিং, ম্যানেজমেন্ট, অ্যাডভার্টাইজিং, কমিউনিকেশান, পাবলিক রিলেশান ইভেন কিছু কিছু জায়গায় সোশিওলজি অথবা লিঙ্গুইস্টিক (ইংলিশ) ও কাভার করে। খুঁজেন কোন কোন ইউনিভার্সিটি এই রেঞ্জের কোর্সগুলা অফার করে। একটা এক্সেল ফাইল বানান, ফাইলে একটা কলামে ইউনিভার্সিটি, আরেকটা কলামে ডিপার্টমেন্টের নাম + কোর্সের নাম বসান। থার্ড কলামটা ফাঁকা রাখেন পটেনশিয়াল প্রফেসরদের নাম বসানোর জন্যে।


এইবার প্রফেসর বাছাইয়ের পালা। ডিপার্টমেন্ট ফ্যাকাল্টি লিস্টে যান। দেখেন মোটামুটি সব প্রফেসরই তাদের জীবন বৃতান্ত, ঠিকুজি, রিসার্চ ইন্টারেস্ট দিয়ে রাখসেন! ওইগুলা দেখেন, চেক করেন আপনার রিসার্চ ইন্টারেস্টের সাথে প্রফেসরের মিলে কিনা। হান্ড্রেড পারসেন্ট মিলবে এমন কোন দিব্যি নাই! এক প্রফেসর ধরেন শুধু হিউমার নিয়েই কাজ করেন কমিউনিকেশান ডিপার্টমেন্টে, আপনি তার নামও লিস্টে রাখেন। আরেক প্রফেসর প্রিন্ট অ্যাড নিয়ে কাজ করেন কিন্তু হিউমার নিয়ে করেন না। তাঁর নামও লিস্টে ঢুকান। মানে হচ্ছে আপনি আপনার রিসার্চ টপিক থেকে সরবেন না, বাট প্রফেসরের ইন্টারেস্টের সাথে ম্যাচ করার জন্যে একটু আধটু সরতেই পারেন!  কিন্তু সাবধান! যেইটা পারেন না, অইটা করতে যায়েন না! একদম ইয়ে করে দিবে মাস্টার্সে!


প্রফেসর বাছাই করে করে থার্ড কলাম ফিলয়াপ করেন। এইবার প্রত্যেকটা প্রফেসরের নাম দিয়ে দিয়ে গুগল স্কলারে সার্চ করেন আর দেখেন উনি কি কি কাজ করসেন। এই কাজগুলা ডিপলি স্টাডি করেন। অনেস্টলি প্রথমে কিছুই বুঝা যায় না, হিজিবিজি হিজিবিজি। আস্তে আস্তে ধরা যায় যে উনি এইটা করসেন, এইটার সাথে উইটা লাগাইসেন, লাগায়ে নতুন এই জিনিস পয়দা করসেন, আবার বলেও দিসেন যে আরো এই এই জায়গায় স্কোপ আছে রিসার্চ করার। এইটাই আপনার জ্যাকপট।


ব্যাকগ্রাউন্ড রেডি শেষ, এইবার প্রফেসরকে ইমেইল করেন আপনার রিসার্চ ইন্টারেস্ট জানায়ে! ইমেইল করার একটা ফরম্যাট আছে, গ্রুপ ফাইলে পাবেন। আমি জাস্ট একটা গাইডলাইন দেইঃ


{start}


প্রথমে সালাম দিবেন (ইংলিশে Greetings! Hope you are dong well"


খুবই শর্টে নিজের পরিচয় এবং বলেন যে এইখান থেকে পাশ করসি। আইইএলটিএস এত আর জিআরই (যদি থাকে) তাইলে এত। ডাইরেক্ট বলেন যে তার প্রিন্ট অ্যাডে হিউমারের উপরে কাজ আপনার অনেক ভাল্লাগসে, আপনি উনার আন্ডারে রিসার্চ শিখতে ইন্টারেস্টেড।


এরপরেই বলেন কোন কোন পেপার পড়সেন (সব না, একটা দুইটা)। এইবার একটা পেপার নিয়ে বলেন যেই এই এই জিনিস খুবই ইন্টারেস্টিং লাগসে, আপনি ফারদার এই ফিউচার রিসার্চ স্কোপ নিয়ে কাজ করতে চান।

নেক্সট প্যারাগ্রাফে বলে দেন যে আপনি খুবই হ্যাপি তাকে মেইল করে। সিভি অ্যাটাচ করে দিয়েন, বইলেন যদি ভাল্লাগে, আপনি অনেক খুশি হবেন তার সাথে যদি কাজ করার সুযোগ পান!

. . . . .

{end}


এরপরে এই জিনিস রিপিট করতে থাকেন আর এক্সেল ফাইলে আপডেট করতে থাকেন। কোন প্রফেসর মেইলের রিপ্লাই না দিলে সাতদিন পরে খুবই মোলায়েম ওয়েতে একটা ফলোআপ মেইল দেন। ইউজুয়ালি বাংলাদেশ সময় রাত ১০-১২ টার মধ্যে মেইল করা ভাল।



নোটঃ আপনি যদি ইউনিভার্সিটি থার্ড/ফোর্থ ইয়ারে হন, হাই টাইম একটা দুইটা পেপার লিখার ট্রাই করা। ডিজুস লাইফ অনেক করা হইসে, এইবেলা সিরিয়াস হন। ক্লাসে কোন কোর্সে টার্মপেপারে আপনার টপিক আনেন, আপনার ইউনিভার্সিটিতে ভাল কোন ফ্যাকাল্টি থাকলে তাকে রিকোয়েস্ট করেন পেপার লিখায় গাইড করতে। সব ইউনিভার্সিটিতেই এমন একজন দুইজন টীচার থাকেন যারা যেকোন পজিটিভ কাজে জানপ্রাণ দিয়ে হেল্প করেন। আমার আজকের কানাডায় পড়তে আসার পিছনে বিইউপির একজন প্রিয় শিক্ষকের অবদান কোনদিনও ভুলব না।



এই হইল "ভাইয়া, প্রফেসরকে কেমনে মেইল করব" আর "রিসার্চ কিভাবে কি করব" প্রশ্নের ইন ডিটেইলস আন্সার। এইগুলা আমার দীর্ঘ দুইবছরের রিসার্চ (!) করে পাওয়া জ্ঞান! B) একটা পোস্টে বুঝানো যাবে না কেমনে কেমনে একএকজন রাত জেগে জেগে প্রফেসরদের ইমেইল করসি আর কত মাস/বছর ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করসি মাস্টার্স/পিএচইডি পড়তে আসার।


হ্যাপি এক্সপ্লোরিং!