ESL - English as Secondary Language
©PBSCU Any unauthorized use of this article, including copying or editing is prohibited. If you want to use the article, you need to take permission from us: pbscuadm@gmail.com or from the author and you must mention the author's name and the group's name in all cases.
This portion is written by S M Wahidun Nabi (BCIT).
এই মাত্র একটি ছেলের কান্না শুনতে পেলাম , ফোন করেও কান্না থামাতে পারি নাই। মন খারাপ হলে অন্য বিষয় ছিল , মন ভালো করে দিতাম সমস্যা ছিলোনা। কিন্তু তার কাছে কোনো টাকা নাই , এজেন্সি বলছে কানাডায় গেলে সব হয়ে যাবে। এজেন্সি তার কাছ থেকে নিয়েছে ১,৭০,০০০ টাকা। ই এস এল এ এসেছে। কোনো ওয়ার্ক পারমিট পায় নাই। এজেন্সি তাকে বলেছে ই এস এল এ ওয়ার্ক পারমিট সমস্যা নাই। ছেলের কাছে এখন আছে শুধু ২ মাসের থাকা খাওয়ার টাকা। আমি জানতে পারলাম তার ফেমিলি তাকে আর টাকা দিতে পারবেনা।
আমি জানিনা কিভাবে ভিসা তাকে দেওয়া হয়েছে বাট আমি সব মেম্বার দের একটা কথাই বলবো , যদি তোমাদের দেশ থেকে ফাইনাসিয়াল বেকআপ না থাকে তাহলে এসোনা কানাডায়। আমি আবারো রিপিট করছি “ দেশ থেকে বেকআপ না থাকলে কানাডায় এসোনা “
কিছু উপদেশ দেই
১. ESL প্রোগ্রামে ওয়ার্র্ক পারমিট নাই
২. পার্ট টাইম জব করে টুইশন ফি উঠানো যায়না
৩. এজেন্সির গল্প মিথ্যে
আমি ছেলেটাকে Part time একটা জব মেনেজ করে দিতে পারি কিন্তু আমার মনে হয়না ও সারভাইব করতে পারবে কারণ টুইশন ফি এর টাকা নাই , কিছুদিন পর ছেলেটা হয়ত ইলিগেল হয়ে যাবে।
বাস্তব ঘটনা গুলো থেকে কিছু শিখুন প্লিজ এবং কিছু জানার থাকলে গ্রূপে জিজ্ঞেস করুন।
ইটস ফ্রি!
২০১৪ সাল, মার্চ মাস। ঘুমাতে যাই সকাল ১১ টায় ঘুম থেকে উঠি বিকাল ৫ টায়। কেউ জিজ্ঞেস করলে আব্বু বলত ছেলে ইউ এস এ চলে যাচ্ছে তাই এখনি নাকি ঘুমের সাইকেল ঠিক করতেছে। পাগল আমার ছেলে । দুইটা উনিভার্সিটির অফার লেটার আসবে এমেরেইকা থেকে মাসের শেষে। ঢাকা শহরের একটা এজেন্সির মাধ্যমে করাচ্ছি ফাইল । ঠিক এরকম একটি সকালে ঘুমাতে গেলাম ফোন কল আসল ১৮ টা । মাথা গরম হয়ে গেল, কে আমার ঘুমের ডিস্টার্ব দিচ্ছে । এক লোক বলল আপনার বাবা এক্সিডেন্ট করেছে তাড়াতাড়ি আসেন । মাথায় আমার আকাশ ভেঙ্গে পরল। পাশে বন্ধু ছিল, এক কাপড়ে গেলাম হাসপাতালে । বাট বাবা নেই আর তখন। এয়ারপোর্ট রোডে বাবা এক্সিডেন্ট এ মারা যায় । পুরো দুনিয়া ওলট পালট হয়ে গেল আমার। কান্না আসলোনা আমার । মনে হল আল্লাহ কেন করল এটা। আব্বু আমাকে অনেক ভালোবাসতো , আব্বু ছিল বন্ধুর মত । আমার মনে হল আমার বেচে থাকার কোনও মানে নাই ।
এজেন্সি রা যে কত নিম্নমানের মন এবং মানসিকতার সেটা এখন বলব। গ্রুপের অনেকেই জানেন আমার অনেক এজেন্সি পরিচিত , এর কারণ আত্তিশজন বাইরে যাওয়ার সময় পরিচয় । তো আব্বু মারা যাওয়ার দুই সপ্তাহ পর এজেন্সির মালিক ফোন দিল , আপনার অফার লেটার আসছে , অফিসে আসেন। ততদিনে আমি ঠিক করে ফেলেছি লাইফে মূল্যবান কোন জিনিশ । সেটা হল ফ্যামিলি । আমমুকে ছেড়ে আমি কোথাও যাবনা । এরই মধ্যে অনেকেই আমাকে জব অফার করেছে । তারপর যখন ফিলিপ মরিসের ( টোব্যাকো কোম্পানি) অফার আশ্তেছিল তখন ঠিক করেছিলাম ওরা যদি আমাকে উত্তরা পোস্টিং দেয় তাহলেই সুধু জয়নে করব নাহলে না । কারণ তাহলে দুপুরে বাসায় আম্মুর সাথে খাব । ততদিনে আমার বয়স ৫০ বছর বেড়ে যায়। অনেক বয়স চলে আসে আমার মধ্যে । দুনিয়ার বাস্তবতা আমি বুঝে ফেলি।
গেলাম একদিন এজেন্সির অফিসে । উনি আমাকে বলল ৫০ হাজার টাকা দেন , আর কবে দাঁড়াবেন। আমি উনাকে বললাম আমি যাবনা। আমি জয়েন করেছি একটা মাল্টিনেশনাল কোম্পানি তে । আর সব ছেয়ে বড় কোথা আমার মায়ের আমাকে দরকার। এমেরিকা যাবনা আমি । উনি ভয়ঙ্কর খেপে গেলেন। তোমাদের মত ছেলেপেলেদের জন্য এই অবস্তাহ। আমি উনাকে বললাম আপনাকে আমি ২০ হাজার টাকা দিয়েছি ফাইল খুলার জন্য। এপ্লিকেশন ফি আলাদা দিয়েছি। আপনিতো অলরেডি টাকা পাইছেন । এখন আমি যাব কি যাবনা আমার বেক্তিগত বেপার। সেইদিন থেকে প্রচণ্ড ঘৃণা জন্মায়ে গেল আমার এজেন্সির প্রতি । একটা ছেলের বাবা মারা যাওয়ার পরেও তারা ধান্দা করার স্কোপ ছারে নাই । যত ঘনিষ্ট হোক না কেন ওদের রক্ত চেঞ্জ হবেনা
যাইহোক now it’s 2017. যেই বন্ধুর সাথে আব্বুর লাশ আনতে গিয়েছিলাম আমাদের দুইজনেরই পাসপোর্ট কল এসেছে, পাসপোর্ট জমা দিয়েছি। CIC ভিসা দিলে দিবে না দিলে নাই , কারণ দেশেও আমি ভাল আছি , কানাডা যাইতেই হবে এমন না আমার । কানাডা যাব এটা কোনও মাল্টিমিলিয়ন ডলার টিকেট না । শুধু নিজে নিজে ফাইল গুছাইছি, কষ্ট করেছি , আব্বু নাই তাই ফাইল রেডি করতে অনেক কষ্ট হইছে সুধু তার একটা রিওয়ার্ড পেলে ভাল লাগবে এই ।
দুয়া করবেন